ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজধানীর বাজারদর

নিত্যপণ্যে কাটেনি বন্যার প্রভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০২, ২০১৯

সারা দেশে সৃষ্ট বন্যার প্রভাব এখনো কাটেনি রাজধানীর কাঁচাবাজার থেকে। প্রতিটি পণ্যই কয়েকগুণ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, কোনো অজুহাত পেলেই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে বসে থাকেন। সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং নেই বললে চলে। এতে বিক্রেতারা আরও পেয়ে বসেছেন।

 

তবে বিক্রেতারা বলছেন, তাদের কিছুই করার নেই। বন্যায় অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। সড়ক যোগাযোগ ভেঙে ঢাকায় পণ্য সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না। অবশ্য বন্যা পরিস্থিতি গত সপ্তাহ থেকেই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, হাজীপাড়া, মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রামপুরা বাজারে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২০০-২২০ টাকা। খিলগাঁও তালতলা বাজারে কাঁচা মরিচের পোয়া ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ হিসাবে বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা। মরিচের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী খায়রুল হোসেন বলেন, বন্যার কারণে এবার মরিচের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বাজারে যে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে এর বেশির ভাগই আমদানি করা। তবে গত দুই সপ্তাহ থেকে পিয়াজের দাম বেশ কমেছে। বাজারে দেশি পিয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে। আর ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। তবে এ দাম বাজারভেদে ভিন্ন। বাজারে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। গাজার বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা এবং শসা ৬০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ তিনটি পণ্য এমন দামে বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে বেগুনের দাম।

দুই সপ্তাহ আগে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৮০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের মধ্যে বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। ঝিঙা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। এ সবজিগুলো গত এক সপ্তাহ ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত থাকা সবজির মধ্যে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। আর বরবটির ৬০-৭০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পিস।

আলু ২০-২৫ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা। লাউ আকারভেদে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা হালি, পুঁই শাক প্রতি আঁটি ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে রুই মাছ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০-৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকা ও পাঙ্গাশ ১৪০-১৬০ টাকা, সরপুঁটি ১৬০-২০০ টাকা, চাষের কই ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম একটু কমেছে। এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি নাজির শাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১১০ টাকা, মসুর ডাল মোটা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 
Electronic Paper