শিশু গৃহশ্রম নিরসনে আইন জরুরি
মো. মুজিবুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০১৯
শিশুশ্রমের জন্য আলাদা একটি আইন জরুরি বলে মনে করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক। গতকাল সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলনে।
তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের ইতিহাস এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের জন্যই শিশুশ্রম শতভাগ নির্মূল করা কার্যত সম্ভব নয়। তবে আমাদের ন্যূনতম শিক্ষার ধাপ আরও বৃদ্ধি করে বিস্তার আরও বৃদ্ধি করা দরকার। সুশিক্ষিত জাতিগোষ্ঠীই পারে শিশুশ্রমের কুফল থেকে আমাদেরকে বের করে আনতে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, দেশের সরকার ও সরকার প্রধান শিশুশ্রম নিরসনের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক তবে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় তৎপর না হলে এই লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন। সরকারের উচিত যেসব এনজিওর সততা, আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা পরীক্ষিত তাদেরকে শিশুশ্রম নিরসনের কাজে সম্পৃক্ত করা।
তিনি আরও বলেন, গৃহ শিশুশ্রম একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সময় এসেছে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা পর্যালোচনা করে শিশু গৃহশ্রমকে তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা। তিনি জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের কার্যক্রমকে জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরো বলেন, গৃহ শিশুশ্রমের জন্য আলাদা একটি আইন তাদের সুরক্ষার জন্য জরুরি।
‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন : প্রেক্ষাপট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটওয়ারী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রেজাউল হক এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকমল শরিফ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএসএএফ এর পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ বলেন বাংলাদেশের প্রায় ১৩ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে নিয়োজিত আছে যা নিরসন কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার। সরকার দেশের ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে অত্যন্ত আন্তরিক ও ২৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করলেও তার অগ্রগতি কী অবস্থায় আছে তা স্পষ্ট নয়। তিনি দেশের এনজিওগুলোকে সরকারের উন্নয়নমূলক ও শিশুশ্রম নিরসনের কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।