ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ওয়াসার পানি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

নিম্নমানের হওয়ায় ঢাকা ওয়াসার পানি নানা উপায়ে পান উপযোগী করে তুলতে হয়। ঢাকা ওয়াসার সকল সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ মানুষ নানা উপায়ে পানিকে পানের উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা করেন। এদের মধ্যে ৯১ শতাংশ মানুষ ফুটিয়ে বা সিদ্ধ করে পানি পান করেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

 

বুধবার ধানমন্ডি টিআইবি’র মেঘমালা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

টিআইবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯১ শতাংশ ওয়াসার পানি সিদ্ধ করে পানের উপযোগী করতে বছরে গ্যাস খরচ আনুমানিক প্রায় ৩৩২ কোটি টাকা।

আর এই পানি পানের কারণে (জুলাই ২০১৭-জুন ২০১৮) পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আবাসিক ও এলআইসি এলাকায় ২৪.৬ শতাংশ মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো দেশে পানি ফুটিয়ে পান করা হয় না। এশিয়ার কোনো দেশেও এমন নেই। ঢাকা ওয়াসাকে এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা দরকার।

টিআইবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার পানির মান ৫১.৫ শতাংশ অপরিষ্কার। আর দুর্গন্ধযুক্ত পানির পরিমাণ হচ্ছে ৪১.৪ শতাংশ।

প্রতিবেদন তৈরিতে টিআইবি ওয়াসার ১০টি জোনের ২ হাজার ৭ শত ৬৮ জন ওয়াসার সংযোগ গ্রহণকারী থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।

সেখানে ২০.৬ শতাংশ গ্রাহক বছরে সবসময় পানি সরবরাহে ঘাটতির কথা বলেছেন।

টিআইবির প্রতিবেদনে চাহিদা অনুযায়ী পানি না পাওয়ার হার বস্তি এলাকায় সবচেয়ে বেশি। বস্তি এলাকায় ৭১.৯ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না। এছাড়া আবাসিক এলাকায় ৪৫.৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকায় ৩৪.৯ শতাংশ ও শিল্প এলাকায় ১৯ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না। সার্বিক সেবা গ্রহীতাদের ৪৪.৮ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না।

টিআইবির প্রতিবেদনে ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাকে পানির সংকটপূর্ণ এলাকা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে পানির সংকটপূর্ণ এলাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে- সূত্রাপুর, জুরাইন, মতিঝিল, কদমতলি, চকবাজার, হাজারিবাগ, ইসলামবাগ, নওয়াবপুর, সিদ্দিকবাজার, ওয়াটার ওয়ার্কাস রোড, বড়বাগ, আহমেদ নগর, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, রসুলবাগ, মাদারটেক, নন্দীপাড়া, মোহাম্মদবাগ, পলাশপুর, মুরাদপুর, জগন্নাথপুর, উত্তরা-৬, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত, মানিকদি, মিরপুর-১১, নাখালপাড়া, ভাসানটেক ও বস্তি এলাকাসমূহ।

 
Electronic Paper