ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজধানীর বাজারদর

দাম বেড়েছে সব কিছুরই

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৯

শাক-সবজি, মাছ-মাংস অথবা মুদি পণ্য, বাজারের সবখানেই বাড়তি উত্তাপ। দাম বেড়েছে সব কিছুরই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে পণ্যের এ দর বৃদ্ধির প্রবণতা চললেও সেটা এখন আরও প্রকট হয়েছে। ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে খরচ হচ্ছে আগের থেকে অনেক বেশি অর্থ। যাতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আধা-ডজন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেল। মালিবাগ কাঁচাবাজারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলছিলেন, গত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই বাজারে ‘দরবৃদ্ধির প্রবণতা’ লক্ষ্য করছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘প্রতিদিন বাজারে ঘুরেফিরে কেনাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে নির্বাচনের পর থেকে লক্ষ্য করছি এক-এক করে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।’ সরকারের মনিটরিং না থাকায় এ অবস্থা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে রামপুরা বৌবাজারে রিকশাচালক তুহিন সরদার বলছিলেন, ‘অল্প উপার্জনে সংসার চালাতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। সবজি, মাছ, মাংস কিছুই আর আগের দামে পাওয়া যায় না। কিছুদিন আগেও সব কিছুর দাম ঠিকঠাক ছিল।’ গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু ও পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সব সবজির দাম ছিল ৫০ টাকার উপরে। যেখানে মাসখানেক আগে সবকিছুই মিলতো ওই দামের মধ্যে। আর গতকাল বাজারে নতুন আসা প্রতি কেজি সজনে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়াও শতকের ঘরে ছুঁয়েছে আরও তিন সবজি করলা, ঝিঙা ও কচুর লতি। এ তিনপদ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সঙ্গে পটল, ঢ়্যড়েস, বেগুণ, উস্তার দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর কয়েক সপ্তাহ আগেও ২০-৩০ টাকার সবজি শিম ও ফুলকপির দামও এখন ৫০ টাকা।

কারওয়ানবাজারে সবজি বিক্রেতা নুরুল মিয়া বলেন, ‘এতো দাম কেন সেটা আমাদের বুঝে আসছে না। সিজন চেঞ্জ মৌসুম শেষ হচ্ছে, তবে এতো বেশি দাম বাড়ার কথা নয়।’

সবজির পরে অস্থিরতার তালিকার মুরগি ও মাংসের বাজার। গত এক মাসে ৩০ টাকা বেড়ে এখন ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকায় উঠেছে। বেড়েছে দেশি লেয়ারসহ অন্যান্য জাতের মুরগির দামও। এখন প্রতি কেজি কর্ক জাতের মুরগি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগি কিনতে হচ্ছে ৫০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস শেষ দফার ৫০ টাকা বেড়ে এখন ৫৫০ টাকায় উঠেছে। আর খাসির মাংসের দর এখন ৭২০-৭৫০ টাকা।

তালতলা বাজারে এক মাংস বিক্রেতা বলেন, ‘আগে তো ৪৮০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করতাম। তারপর প্রথমে ২০ টাকা বাড়াতে হয়েছিল। এখন তাও পর্ত্তা হচ্ছে না। ৫৫০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসান হবে। কারণ গরুর দাম প্রচুর বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন দরে গরু কিনি তেমন দরেই মাংস বেচি। কোরবানির প্রস্তুতি হিসেবে এখন অনেকে গরু কিনছে। তাই গ্রামগঞ্জে গরুর দাম খুব বেশি।’

দরবৃদ্ধির তালিকায় পিছিয়ে নেই মাছের বাজারও। সব ধরনের মাছের দামই এখন আগের তুলনায় বেশি।

অন্যদিকে মুদি বাজারে আগের থেকেই চড়ে রয়েছে তেল ডাল ও চিনিসহ বেশকিছু পণ্যের দাম। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ৮০ থেকে বেড়ে ৮৫ টাকায় উঠেছে। একইভাবে আমদানি ও দেশি মসুরের দাম ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৬৫ ও ৯০ টাকা। সঙ্গে ৫০ টাকার চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়।

 
Electronic Paper