ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

রাজধানীর মতিঝিল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চারজন এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি ও ফলাফল পরিবর্তনের নিশ্চয়তা দিত। এমনকি ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করত তারা। অন্যদিকে মাত্র ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় শিক্ষার্থীদের ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘এ-প্লাস’ এবং ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ’ গ্রেডে ফল পরিবর্তনের নিশ্চয়তা দিত তারা।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারকের বিষয়ে এসব তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারক হলেন, মো. আব্দুল ফাহিম (২০), মো. শামীম আহম্মেদ (১৯), মো. সোহেল রানা (১৭) ও মো. নবীন আলী (২২)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিজেদের হ্যাকার বলেও দাবি করতো।

ব্রিফিংয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, আসামিরা ফেসবুকে গ্রুপ খুলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে যে, তারা এসএসসির ফলাফল পরিবর্তন করে দেবে। তাদের আইটি বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে, যারা এসএসসির রেজাল্ট শিট তৈরির সফটওয়্যারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে রেজাল্ট পরিবর্তন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘এ-প্লাস’ এবং ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ’ করে দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত তারা। ফল পরিবর্তনের জন্য চক্রটি ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কারও কারও কাছ থেকে ১৫ হাজার, ২০ হাজার বা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা বহুদিন শিক্ষার্থীদের কাছে এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।

এদিকে ডিবির প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে প্রকাশ, গ্রেপ্তার হওয়া ফাহিম দীর্ঘদিন যাবত ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, গ্রুপ ম্যাসেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষাসহ মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বা বিভিন্ন চাকরি ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। ২০১৮ সালে সে র‌্যাবের হাতে একই অপরাধে একবার গ্রেপ্তার হয়ে ৬ মাস জেল খেটে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করে। সে ‘এসএসসি অল বোর্ড’, ‘এসএসসি অল বোর্ড সেকেন্ড’, ‘রেজাল্ট চেঞ্জ বিডি’ নামের গ্রুপ খুলে সদস্যদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত শামীম ও সোহেল রানা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত ২০১৮ সাল থেকে। অপরদিকে নবীন আলী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে অত্যন্ত মধুরভাবে কথা বলে তাদের কথায় ভুলিয়ে ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করত।

আবদুল বাতেন আরও বলেন, চক্রটি ধরা হয়েছে, তবে এগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকতদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কোমলতি শিক্ষার্থীরা না বুঝে, ভালো রেজাল্টের স্বপ্ন থেকে, কম পড়ে সহজে ভালো ফল করার জন্য এসব বিজ্ঞাপন দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য সচেতনতা প্রয়োজন সবার।

 
Electronic Paper