ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিশুপার্ক বন্ধ

এক বছরের আগে খুলছে না

তানিয়া আক্তার
🕐 ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৯

রাজধানী ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শিশুপার্কটি বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। কিন্তু দর্শনার্থীরা কেউই জানেন না পার্কটি বন্ধ। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে কচিকাঁচা শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। আর ফিরতে হচ্ছে ব্যর্থ মনোরথে। এতে অযাচিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

গত রোববার থেকে শিশুপার্কে প্রবেশের মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পার্ক বন্ধের নোটিস দেখতে পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু পার্কটি বন্ধ রয়েছে- এমন বার্তা যথাযথভাবে পৌঁছেনি দর্শনার্থীদের কাছে। ফলে প্রতিদিনই ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। এজন্য শিশুপার্ক ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হেঁয়ালিকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীদের মতে, পার্ক বন্ধের খবরটি আগে থেকেই সবার কাছে পৌঁছানো উচিত ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা করেনি। পার্ক ফটকে একটি নোটিস ঝুলিয়েই তারা দায়িত্ব শেষ করেছে। পার্ক বন্ধের খবর জানতে হচ্ছে পার্কের সামনে এসে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, শিশুপার্কটি দক্ষিণ সিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলেও ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ প্রকল্পের আওতায় চলে যাওয়ায় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রথমে পিডব্লিউডি (গণপূর্ত অধিদপ্তর), পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তদারকি করছে।

এ প্রসঙ্গে খোলা কাগজের সঙ্গে কথা হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক বছর এর উন্নয়ন কার্যক্রম চলবে। তবে জনগণের যাতে ভোগান্তি না পেতে হয় সে জন্য তাদের কাছে খবরটি পৌঁছানো দরকার। এ ক্ষেত্রে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বলব সংবাদপত্রসহ সব মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা চালাতে।’

বন্ধের নোটিসে বলা হয়েছে, ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নমূলক কাজ করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেন্দ্রীয় শিশুপার্কের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। উন্নয়নমূলক কাজ শেষে পুনরায় সর্বসাধারণের জন্য কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক খোলা হবে।’

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান দুটি সংরক্ষণে ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত শিশুপার্ক। এ সম্পর্কিত একটি মহাপরিকল্পনা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেন। প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, শিশুপার্কের এখনকার প্রবেশদ্বার আর থাকবে না। স্বাধীনতা স্তম্ভ, শিখা চিরন্তন ও শিশুপার্কের প্রবেশ এক পয়েন্ট দিয়েই হবে। ঢুকলেই প্রথমে স্বাধীনতা স্তম্ভ চোখে পড়বে। এ ছাড়া শিশুপার্কে আরও ১১টি রাইড সংযুক্ত করা হবে।

 
Electronic Paper