ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কাল থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯

রাজধানীতে আবারও ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং গাড়ি চলাচলে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এই কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীর জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতিকল্পে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। পাশাপাশি ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম সফল করার জন্য নগরবাসীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধও করা হয়েছে।

ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নয়নে ১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেগুলো হচ্ছে—

১। ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই  বিতরণ।

২। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সদস্যদের নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন।

৩। রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।

৪। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং/রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান/স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৫। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাশ শুরু এবং ছুটির সময়ে উক্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা।

৬। হাইড্রলিক হর্ন, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়াগতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটর সাইকেলের আরোহীদের হেলমেট পরিধানসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

৭। ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

৮। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

৯। গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সব সময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ।

১০। জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে Stop লাইন বরাবর গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বামলেন ঘেষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা।

১১। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

১২। ইতোপূর্বে মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমানবন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেইট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরাতন হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশনসমূহে রিমোর্ট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা।

১৩। ফার্মগেট হতে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।

 
Electronic Paper