আবেদনের মূলে চলছে খন্দকার সিএনজি পাম্প
মাহফুজুল আলম খোকন, উত্তরা
🕐 ৫:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৩

রাজধানীর উত্তরের প্রবেশদ্বার উত্তরা আব্দুল্লাহপুর খন্দকার সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনটি রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবত লিজের মাধ্যমে চলে আসা এই পাম্পটির লিজ বাতিল হয়েছে সদ্য। তবে পুনরায় আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন বলে দাবী কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গিয়ে যানাযায়, শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে সড়কের জায়গায় ভবন নির্মাণ করার প্রতিবাদে সমবেত হয়ে মানববন্ধন করেছেন আব্দুল্লাহপুর পূর্বপাড়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন বাবুল ও সাধারন সম্পাদক সফিকুল আলম মুক্তার নেতৃত্বে এলাকার শতাধিক বাসিন্ধা মানববন্ধন করেছেন।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে নাসির উদ্দিন বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, নব-নির্মিত ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কের রাস্তা এটি, এই রাস্তা হলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।
এই বিষয়ে সফিকুল আলম মুক্তা বলেন, রাস্তাটি হলে আমরা এলাকাবাসী নাগরিক সুবিধা গ্যাস পানি পাবো। দয়া করে আপনারা সিএনজি ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের এই ক্ষতি করবেন না।
মানববন্ধনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে এলাকাবাসী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থেকেও আমরা এখনো সিটমহলবাসী হয়েই রয়েছি। আমাদের দিকে একটু সুনজর দিবেন বলে বক্তব্য দেন তারা।
২০০৭ সালের দিকে আব্দুল্লাহপুরস্থ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে সড়ক ও জনপদের তিনটি দাগে জমি বরাদ্ধ নেন মো. নুরুদ্দিন খন্দকার নামে এক ব্যক্তি। সেই থেকে সরকারি সকল নিয়ম-কানুন মেনেই চলছে এই পাম্পটি। তবে গত বছর জমিটি সড়ক বিভাগের প্রয়োজন হওয়ায় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সেই আলোকে জমির ইজারাদার নুরুদ্দিন খন্দকার জমিটি পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে সড়ক বিভাগের কাছে একটি আবেদন করেন। সেই ক্ষমতাবলে পাম্প কর্তৃপক্ষ সরকারি খাজনা পরিশোধের মাধ্যমেই চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি বলে দাবি করেছেন খন্দকার পাম্পের ম্যানেজার মো. কামাল হোসেন। অন্যদিকে চলতি বছরেই ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ আরম্ভ হওয়ায় সিএনজি পাম্পের জন্য বরাদ্ধ নেয়া মোট জমির ৩ ভাগ জুড়েই উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। অল্প জায়গায় বিশাল এই পাম্প ষ্টেশনটিতে আসা গাড়ির বহরের কারনে নিয়মিত জটলা লক্ষ করা যাচ্ছে।
