তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচার দাবি ছাত্রলীগের
আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি
🕐 ৯:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২২
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চলনায় ও সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এ ছাত্র সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ টি হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেডে হামলার পেছনে জড়িত সকলের মুখ চেনা দেশের মানুষের কাছে। এ মুখগুলো বাংলাদেশের মানুষের কাছে গণশত্রু এবং এ মুখগুলোই স্বাধীন আন্দোলনের যে অঙ্গীকার তা বিসর্জন দেয়ার চেষ্টা করেছে। দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতাতে বিএনপি-জামাআত সরকারের এখনও ষড়যন্ত্রে মত্ত। বিএনপি-জামাআত সরকারকে রুখে দিতে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সভাপতির বক্তব্যকালে বলেন, ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার পুরো পরিকল্পনার ছক হাওয়া ভবনে বসেন আঁকেন এ হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়া। সেই সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ হামলার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এ হামলার সঙ্গে জড়িত দণ্ডিত প্রাপ্ত অধিকাংশ আসামীই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এ হামলার জড়িতদের দায় মুক্তির জন্য সাজানো হয়েছিল জজ মিয়া নাটক। এছাড়াও হামলার জড়িতদের পুরষ্কৃত করে, বিভিন্ন দেশে পালাতে সহায়তা করেছে এ বিএনপি। দ্রুত এ হামলার জড়িত তারেক জিয়া সহ পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানায় এ ছাত্রনেতা।
এ হামলায় জড়িত তারেক রহমানকে দেশে ফিরয়ে আনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন, দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুততার সহিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকর হোক। এছাড়া যে হ্যারিকেন পার্টি দেশকে নিয়ে বাংলাদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে, বিভিন্ন দূতাবাসে মায়াকান্না কাঁদছে। তাঁদের সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সদা প্রস্তুত রয়েছে এবং এ দেশ থেকে উৎখাত করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায়, তিনজন ছাড়াই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।