ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শোকরানা মাহফিল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৪, ২০১৮

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে শোকরানা মাহফিল। রোববার সকাল নয়টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে মাহফিল শুরু হয়। এর আগেই আলেমদের সমাগমে এক প্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমান মর্যাদা দেয়ায় আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে শুকরানা মাহফিল-এর আয়োজন করেছে কওমি মাদরাসাগুলোর ছয় বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ।

গায়ে পাঞ্জাবি-পায়জামা আর মাথায় টুপি পরে স্রোতের মতো টিএসসি ও মাজার গেট দিয়ে মাহফিল স্থানে প্রবেশ করছেন সারাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন মাদরাসারর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন শোকরানা মাহফিলে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিতির জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।

সোহরাওয়ার্দীর এ মাহফিলকে ঘিরে রাজধানীতে যান চলাচলের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। উদ্যানের চতুর্দিক ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এর আগে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত বাস ভর্তি করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতেই ঢাকায় পৌঁছেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠ ও বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করা হয়েছে।

ভোর পৌনে ৬টায় সরেজমিন দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমির গেট দিয়ে মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে প্রবেশ করছেন।

এ সময় তারা জানান, ফজরের নামাজের পর থেকেই উদ্যানে প্রবেশ শুরু হয়। শাহবাগ, নিউমার্কেট ও দোয়েল চত্বরের সামনে পুলিশসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা আগতদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।

ভোরের দিকে ক্যাম্পাসে স্বল্পসংখ্যক প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও রিকশা প্রবেশ করতে দেয়া হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী দোয়েল চত্বরের সামনে দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন। গোটা ক্যাম্পাস ও সমাবেশ স্থলের ভেতরে বাইরে শত শত পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

 
Electronic Paper