ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কলাপাড়ায় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে!

সোলায়মান পিন্টু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২২

কলাপাড়ায় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে!

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলমান করোনার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোমবার উপজেলার চম্পাপুর ইউপির নোমরহাট বাজারের বাইতুল নূর জামে মসজিদে এ বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। পার্শ্ববর্তী তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৩ জন মেম্বারের উপস্থিতিতে মুসলিম শরিয়া মতে এ বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন হাফেজ মোঃ কারী আবদুর রহিম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ধানখালী ইউপির মৃত শহীদ মৃধার পুত্র মামুন মৃধার (৩০) সাথে চম্পাপুর ইউপির পাটুয়া আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল মৃধার মেয়ে মারিয়ার (১৬) সাথে পারিবারিক ভাবে এই বিয়ে দেয়া হয়। মারিয়া খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছেন। বিয়ের কলমা অনুষ্ঠানে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার, চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার ও পাশ্ববর্তী আমতলী উপজেলার হলদিবাড়িয়া ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মিন্টু মল্লিক স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোন ধরনের স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই হাজারো মানুষের ভীড়ের মধ্যে দিয়ে চলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এসময় উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকে কৌশলে চায়ের দোকানে বসিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন বাল্যবিয়ের নেতৃত্বদানকারী চেয়ারম্যানগণ।

এদিকে, রক্ষক কেন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন এমন প্রশ্নে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সচেতন মহলের প্রশ্ন, চলমান বিধি নিষেধের মধ্যেও সব কিছু উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটিয়ে একাধিক চেয়াম্যানের উপস্থিতিতে কিভাবে বাল্য বিয়ের মত অপরাধ সংঘঠিত হয়।

সাধারণ নাগরিক বলছেন, স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতেই যদি বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাল্য বিয়ের প্রবনতা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মারিয়া এবছর আমাদের বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ওর বয়স ১৮ বছরের চেয়ে কম। তাকে বাল্য বিয়ে দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে।

মারিয়ার পিতা স্কুল শিক্ষক বাবুল মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবরা কিভাবে দাঁড়িয়ে থেকে বাল্য বিয়ে দেন। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুহাসনাত মো. শহীদুল হক বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই।

 
Electronic Paper