পটুয়াখালীতে লকডাউনে উদাসীনতা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ১:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২১
পটুয়াখালীতে সরকার ঘোষিত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় পটুয়াখালী সদরে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যথাযথভাবে মাঠে কাজ করছে। তবে প্রশাসন সচেষ্ট থাকলেও সচেতন হচ্ছে না পথচারী এবং ব্যবসায়ীরা। পটুয়াখালী শহরের অলিগলি এবং নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে সাধারণ মানুষ জনসমাগম এড়িয়ে চলছে না এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রেতারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন না।
পটুয়াখালী বাঁধঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্রেতার মুখে মাস্ক ছিল না। সচেতনতা ছিল না কাঁচাবাজারের বিক্রেতাদের মাঝেও। জীবাণুনাশকের ব্যবহারও দেখা যায়নি নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ‘বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু সবসময় স্বাস্থবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছি। বাজার কমিটি থেকে আগে স্যানিটাইজার দিতো, এখন দেয়নি।’
নিউমার্কেট এলাকার চিত্র একই। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাজারে প্রবেশের পূর্বে ক্রেতাদের হাতে জিবাণুনাশক দেয়া হয় না। মাছের এবং সবজির দোকানগুলোতে গাদাগাদি করে ক্রয় বিক্রয় করছে সবাই। কোনো কোনো ক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ ক্রেতাদের মধ্যে কোনো সচেতনতা ছিল না। প্রশাসন থেকে জরিমানা করলে কিছুক্ষণের জন্য ব্যবসায়ীরা সর্তক হলেও প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবার জনসমাগম সৃষ্টি করছে তারা।
এছাড়াও পটুয়াখালীর গলাচিপা, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাজারে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। গলাচিপা উপজেলা সদরের কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, কাঁচাবাজারে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে না। মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিধখালী বাজারে সকালে কিছুটা লকডাউন মানলেও বিকেলে বিক্রেতারা দোকানের শাটার খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
তবে পটুয়াখালীর সবুজবাগ মোড়, চৌরাস্তা, ঝাউতলা এলাকার পথচারীদের মাস্ক পরিধানে সতর্ক করতে দেখা গেছে পুলিশকে। তারা মাস্ক বিহীন জনগণকে জরিমানাসহ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করেছেন। শহরের তিতাশ মোড় এবং সবুজবাগ এলাকায় যতক্ষণ পুলিশ টহলরত থাকে ততক্ষণ সাধারণ লোকজনকে স্বাস্থবিধি মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে কিন্তু পুলিশ চলে গেলে পুনরায় স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে জনসমাগম সৃষ্টি করছে পথচারীরা।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে করোনা মোকাবেলায় বহিরাগতদের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী শহরের প্রতিটি প্রধান প্রবেশপথে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।