ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পটুয়াখালীতে লোকসানের শঙ্কায় প্রান্তিক খামারিরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২১

পটুয়াখালীতে লোকসানের শঙ্কায় প্রান্তিক খামারিরা

দেশব্যাপী পশু বেচা-বিক্রির ভরা মৌসুম থাকা সত্বেও পশুর হাট স্থাপনে বিধিনিষেধ থাকায় কোরবানির পশু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পটুয়াখালীর প্রান্তিক খামারিরা। জানা যায়, পটুয়াখালীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সনাতন ও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ক্ষেতের সবুজ ঘাস, কুটা, খইল, ভুষি ও ভাতের মার খেয়ে কোরবানির পশু বড় হয়েছে।

 

 

প্রাথমিক তথ্যমতে, জেলায় কোরবানির জন্য বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৭৮টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। তবে জেলার অন্যতম খামার হচ্ছে মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের সততা এগ্রো ফার্ম। যেখানে শতাধিক দেশি বিদেশি গরুর মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ “বরিশালের বস” নামে একটি ষাঁড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু গরুর হাট ক্রেতা শূন্য এবং বিধিনিষেধ থাকায় গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে এসব খামারিরা।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুরের স্থানীয় খামারী রশিদ জানান, গত বছর মহামারিতে অনেক টাকা লোকসানের পরও এবার ধারদেনা করে প্রাকৃতিক উপায় নানা জাতের প্রায় ২২ লক্ষ টাকার গরু প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কম থাকায় লোকসানের শঙ্কায় ভুগছেন তিনি। অপরদিকে জেলায় ৮টি অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করেছে সরকার। প্রান্তিক খামারিদের বেশিরভাগই অনলাইন বেচাকেনায় অজ্ঞ।

গলাচিপা উপজেলার খামারি মতলেব হাওলাদারের সাথে কথা বলেলে তিনি জানান, অনলাইন সম্পর্কে তার ধারণা না থাকায় বড় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল থাকা সত্বেও বিধিনিষেধ আরোপ করায় ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। বাদুরা হাটে লোকসমাগম বেশি থাকলেও সবাই গরু দেখতে আসে কিন্তু গরু কিনতে কম আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায় পশু ক্রয় ও বিক্রির জন্য জেলায় ৮টি প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন স্থানে চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়।

 
Electronic Paper