ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মির্জাগঞ্জে খানাখন্দে ভরা সড়ক, চলাচলে দুর্ভোগ

উত্ততম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
🕐 ২:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২১

মির্জাগঞ্জে খানাখন্দে ভরা সড়ক, চলাচলে দুর্ভোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের গুরুত্বপূর্ন দুইটি সড়ক খানাখন্দের কারনে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। বছরের পর বছর সড়ক সংস্কার কিংবা নির্মান না হওয়ায় বৃষ্টির পানি আটকে পড়ায় মানুষ চলাচল তো দূরের কথা রিক্সা ও মোটরসাইকেল চলতে কষ্ট হচ্ছে। তবে মহাসড়কে কিছু অংশে ইট বিছালেও চলাচলে দায় হয়ে পড়েছে।

উপজেলার মধ্যে সুবিদিখালী বাজার হচ্ছে প্রানকেন্দ্র বা বানিজ্যিক কেন্দ্র। সামান্য বৃষ্টি হলেই চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বাজারে বসবাসরত বাসিন্দাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতরা। এমই বেহাল দশা উপজেলার সুবিদখালী বাজার ব্রীজের উত্তর পাশের ঢাল থেকে আলী বাংলা চাইনিজ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ- মির্জাগঞ্জ-বরগুনা মহাসড়কের তিনশত ফুট সড়ক এবং পদ্মা ব্যাংক থেকে ঋষি বাড়ি পর্যন্ত সুবিদখালী বাজারে প্রবেশদ্বারের প্রায় ছয়শত ফুট সড়ক। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীসহ যানবাহন। সরেজমিনে দেখাযায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে সিসি ঢালাই উঠে খানা খন্দসহ ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমানে যানবাহন তো দুরের কথা লোকজনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এ সড়ক দিয়ে। সড়কের কোন কোন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে হাটু সমান পানিও জমে থাকে। বৃষ্টি হলেওই এ সড়কে রিক্সার ড্রাইভাররা সহজে যেতে চান না। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই রিকসা, অটোরিকসা, মোটরসাইকেল, টেম্পু, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সড়ক দুটির মাঝে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীসহ স্থানীয় জনসাধারণ। ব্রীজ ঢালে মহাসড়কে কোন রকমের ডেনেজ ব্যবস্থা এবং কালভার্ট না থাকায় বৃষ্টিসহ স্থানীয় জনসাধারণের গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারিত পানি আটকে থাকে সড়কে।

স্থানীয়রা জানান, এদূর্ভোগ আমাদের প্রতিবার বর্ষা মৌসুমে পোহাতে হয়। আশ্বাস দেয় রাস্তা ঠিক করে দিবে। কিন্তু ঠিক আর হয় না। তাই ঝুঁকি নিয়ে জলকাঁদা মাড়িয়ে চলতে হয়। ব্রীজের ঢালের মহাসড়কে উপর একটা কালভার্ট ছিলো। বাড়ি-ঘর, দোকান পাট করে তাও আটকে ফেলেছে। তাই বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে।

আটোচালক মো. সিদ্দিক মৃধা বলেন, ভাঙা রাস্তা জন্য আমরা ঠিক মতো গাড়ি চালাতে পারি না। পার্সপাতি ভেঙ্গে যায়, গাড়ি উল্টে দূর্ঘটনা ঘটে। গর্তের মধ্যে আটকে পড়ে গাড়ি। আমাদের দুঃখের কথা কেউ চিন্তা করে না। সরকারের কাছে মির্জাগঞ্জের দুইটি গুরুত্বপূর্ন সড়ক সংস্কারের দাবী জানাই।

উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম উর রশিদ জানান, রাস্তাটি পাকা করনের জন্য আমদের একটি স্কিম প্রদান করা হয়েছে। সে মোতাবেক আমরা তালিকা পাঠিয়েছে। দ্রুত সময়ে মধ্যে সড়ক দুইিট মেরামত করা হবে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বাজার সড়কটির গত বছর অর্ধেক কাজ করা হয়েছে। বৃষ্টির কারনে পুরো সম্পূর্ন কাজ হয়নি। পথচারীদের দুর্ভোগ লাগবে কয়েক দিনের মধ্যে বাকী অংশের সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

 
Electronic Paper