ঘর নির্মাণে বাধা, চাঁদা দাবি
সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২১
পটুয়াখালী পৌর শহরের সবুজবাগস্থ পিটিআই সড়ক এলাকায় মাহমুদা বেগম (৫২) নামে এক নারী নিজ জমিতে বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কামাল হোসেন, আরিফুল হক সোহান, হেলেনা বেগম, সনিয়া বেগম, হেলাল উদ্দিন বাধা প্রদান করেন। শুধু তাই নয়, তারা ৫০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাতে হঠাৎ তারা ভাঙচুরের শব্দ পায়। পরে মাহামুদা বেগমের বাড়িতে কয়েকজন পুরুষ এবং দুজন নারীকে ভাঙচুর করতে দেখেন। বাসার ভিতর থেকে চিৎকার চেচামেচি করলে তারা বাইরে থেকে ইট ছুঁড়ে জানালার কাচ ভেঙে ফেলে।
এ বিষয়ে মাহমুদা বেগমের শাশুড়ি রিজিয়া বেগম জানান, জমির মালিক তিনি ও তার স্বামী মৃত আবদুর রাজ্জাক মিয়া। জমি তিনি এবং তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ১৯৯২ সালে তাদের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম বাদলের নামে কবলা দলিল করে দেন। সেই জমিতে একটি ওয়াল ও টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ওবায়দুল ইসলাম বাদল ভোগ দখল করে আসছেন। পরে জমি তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে কবলা দলিল করে দেয় এবং ১২ শতাংশ জমি মাহমুদার নামে রেকর্ড হয়। বর্তমানে তাদের বসতঘরের প্রয়োজন হওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করেন এবং তাদের অন্য একটি বসতঘরে ভাঙচুর করেন। পরে মো. শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে শহিদদুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি লোক পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কয়েকজন আত্মীয় রাতে ওই বাসায় গিয়েছিল। তারা কি করেছে আমার জানা নেই।
পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ওই জমির মালিক মাহামুদা বেগম। তিনি নিয়মিত পৌর কর প্রদান করে আসছেন। কাগজপত্র সবকিছু দেখে আমি ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছি।
পটুয়াখালী সদর থানা ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, কিছুদিন আগে বসতঘরে হামলা হলে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন মাহামুদা বেগম। ৩০ মে রাতের ঘটনা তারা শুনেছেন। তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।