দশমিনায় ডাবের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২১
একদিকে চলছে রোজার মাস, অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ, ছড়িয়ে পরেছে ডায়রিয়া, দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অধিকাংশ মানুষ চাইছেন একটু ফল খেতে। কিন্তু রোজা উপলক্ষে পটুয়াখালী দশমিনায় এবার ডাবের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে ডাব বিক্রেতা, উপজেলা সদরের জামাল, রনগোপালদী ইউনিয়নের ফারুক ও নারিকেল বাগানি এবং স্থানীদের সাথে কথা বলেন জানা যায়, প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাপক হারে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পরলে স্যালাইন সংকটের কারণে ডাবের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ডাব বিক্রেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডাব সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা সেনানিবাস কর্তৃক তৎসামান্য আইভি স্যালাইন দশমিনা হাসপাতালে হস্তান্তর করলেও স্যালাইন সংকট দূর হয়নি। অপরদিকে রোজা উপলক্ষে রোজাদার ব্যক্তিরা কেউ কেউ বলছেন, সারাদিন রোজা রেখে শেষ বিকেলের ক্লান্ত সময়ে ইফতারে মানুষের ঠান্ডা ডাবের পানি খেতে ইচ্ছে জাগে। কিন্তু বাজারে ডাবের সরবরাহ কম থাকার কারণে ডাবের দাম চড়া হওয়ায় ইচ্ছেগুলো মিটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আকারভেদে প্রতি পিস ডাব ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো কোনো বিক্রেতা ডাব একটু বড় হলেই তার দাম হাঁকছেন ষাট থেকে সত্তর টাকা, যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ। ডাবের দাম অস্বাভাবিক হওয়ায় অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন না কিনে।
পাইকারি ডাব বিক্রেতা মোঃ রহমান মিয়া বলেন, এই গরমে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সেই চাহিদা অনুযায়ী ডাবের সরবরাহ অত্যন্ত কম। দীর্ঘ দিন ধরে ডায়রিয়া ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং স্যালাইন সংকটে ডাবের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
গাছ চাষি মালেক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার নারকেল গাছে ফলন খুবই কম হয়েছে। ডাব কম হওয়ায় চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এবার ডাব বিক্রেতা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডাব সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। ডাবের দামও ভালো পেয়েছে। যে কারণে ডাবের দাম অনেক বেশি।