সাবেক কমান্ডারসহ ৩১ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বঞ্চিত
মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২১
নজির আহম্মেদ একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকার পরিচিত। লাল মুক্তিবার্তা ও বেসামরিক গেজেটভুক্ত আছে তার নাম। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন এক যুগ ধরে। বয়সের ভারে গৃহবন্ধী দিনযাপন করছেন তিনি। তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা চালু থেকে পেয়ে আসছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা সম্মান হারানো আতঙ্ক আর ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
দখিনার দশমিনা উপজেলায় তালিকাভুক্ত ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ৬১জন। তাদের মধ্যে ৩০ জনের ১২ হাজার টাকা ভাতা চলমান রয়েছে। ভাতা না পাওয়াদের মধ্যে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজির আহম্মেদ, সেকান্দার আলী (ইপিআর), মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ শাহাবুদ্দিনসহ ৩১ মুক্তিযোদ্ধা। ভাতা বঞ্চিতদের তালিকায় রয়েছে মৃত মুক্তিযোদ্ধা বাবুল কুমার দাসের পরিবারও। এ ঘটনায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো।
চলতি বছরের ২৫ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা সমন্বিত তালিকা প্রথম পর্ব প্রকাশ করে সরকার। ওই তালিকায় পটুয়াখালী জেলার ৯শ’ ৪৬ জনের নামে সাথে দশমিনার ৩৯ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজির আহম্মেদ জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের ভাতার টাকা পাইনি। মার্চ মাসের ভাতা পাবো কি-না অনিশ্চিত।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন মাতুব্বর জানান, জিপি-২ এর মাধ্যমে টাকা দেওয়া শুরু হলে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভাতা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো চরম আর্ধিক সংকটে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দ্বায়িত্বরত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আল-আমিন জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ও মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করা যাচ্ছে না। লকডাউন শেষ হলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়ার বিষয়ে চেষ্টা করা হবে।