স্কুল ফিডিং কার্যক্রম
বাড়িতেই বিস্কুট পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি
🕐 ৬:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবুও চালু রয়েছে দরিদ্রপীড়িত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা যাতে এই করোনা পরিস্থিতিতে পুষ্টি শূন্যতায় না ভোগে সে লক্ষ্যে বরগুনার বামনা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মীরা পৌঁছে দিচ্ছে উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিস্কুট। বাড়িতে থেকেও বিস্কুট পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।
রোববার বরগুনার বামনা উপজেলার পশ্চিম ডৌয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে বিস্কুট পৌঁছে দেন বামনা ইউএনও বিবেক সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল, প্রধান শিক্ষক হাসিয়ারা বেগম, সুশীলন প্রতিনিধি নিখিল রঞ্জন মন্ডল, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশিলনের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি এবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ মোট ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২৪ প্যাকেট করে উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে।
পশ্চিম ডৌয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহাদ ইসলাম বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। তবে আমাদের ঘরে প্রতি মাসে বিস্কুট দিয়ে যায়। আমরা বিস্কুট পেয়ে খুব খুশি।
ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার বলেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও আমরা বিস্কুট পাই। পড়াশোনা ও খেলাধুলার শেষে ক্ষুধা লাগলে এক প্যাকেট বিস্কুট খেলে পেট ভরে যায়।
বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশিলন বামনা উপজেলা প্রতিনিধি নিখিল রঞ্জন মন্ডল বলেন, গত ২০০৮ সাল থেকে দরিদ্র পীড়িত এলাকা বিবেচনায় সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং ডব্লিউএফপির যৌথ উদ্যোগে বামনা উপজেলার ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এ কার্যক্রম চালু হয়। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিটি বিদ্যালয় সপ্তাহে ৬ দিন দুপুরের খাবার ও একদিন উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিতরণ করা হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় সরকার শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বিস্কুট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দান করায় সুশিলনের কর্মীরা বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সহায়তায় তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
বামনা ইউএনও বিবেক সরকার বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা হিসেবে বামনা উপজেলায় এই কার্যক্রম চালু হওয়ায় সরকারের প্রতি সবাই কৃতজ্ঞ। এই করোনা পরিস্থিতিতেও সরকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাড়ি পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিস্কুট পৌঁছে দিচ্ছেন এটা সরকারের সফল উদ্যোগ। বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো সঠিক সময়ে বিস্কুটের প্যাকেট শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করায় তাদের ধন্যাবাদ জানাচ্ছি।