ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বৃদ্ধাশ্রম খুঁজছেন তিনি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ০৯, ২০১৮

তরুণ বয়সে প্রচণ্ড শক্তিশালী সনু মিয়ার সবকিছুই ছিল। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিনমজুর সনু মিয়ার সংসারে আনন্দের কমতি ছিল না। অথচ বর্তমানে ৮৫ বছর বয়সী সনু সিকদারের কিছুই নেই। নিঃসঙ্গতাই তার একমাত্র সম্বল।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের বাঘড়ি বাজার সংলগ্ন একটি ঝুপড়ি ঘরে সনু মিয়া একাকি বসবাস। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাই অসহায় সনু মিয়া খোঁজ করছেন একটি বৃদ্ধাশ্রমের। যেখানে অন্তত বিনা চিকিৎসায় একা মরতে হবে না। কথা বলার কেউ থাকবে। জীবনের শেষ দিনগুলো একটু শান্তিতে কাটবে তার।
গতকাল বুধবার দুপুরে সনু মিয়ার বাড়িতে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে তার বউ-বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় থাকে। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র মেয়ে থাকে তার স্বামীর বাড়িতে। দুই বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এখন আমি একা। আমার খাবার আমাকেই রান্না করে খেতে হয়। কোনো দিন খাওয়া হয়; কোনো দিন হয় না। অসুস্থ হলে দেখার কেউ নেই আমার।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে চোখের কোনে কষ্টের অশ্রু জমে সনু মিয়ার।
সনু মিয়া আরও বলেন, আমার মতো অসংখ্য অসহায় বৃদ্ধ মানুষ রয়েছে দেশে। এ বৃদ্ধদের জন্য সরকারের কিছু করা উচিৎ। শুধুমাত্র বয়স্ক ভাতা দিয়েই সরকার দায়িত্ব শেষ করছে। ব্যক্তি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃদ্ধাশ্রম থাকলেও আমাদের এলাকায় তা নেই। তাই ওপরওয়ালা এখন আমার একমাত্র ভরসা।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সনু মিয়া বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আমার দুরাবস্থার কথা জানিয়েছি। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সনু মিয়ার প্রতিবেশী রহিম রেজা বলেন, সনু মিয়ার একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই দরকার। এ বৃদ্ধ মানুষটির জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, সনু মিয়ার কথা শুনে তার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছি। আমাদের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব, আমরা তা করব।

 
Electronic Paper