বরিশালে নাব্য সংকট
বরিশাল ব্যুরো
🕐 ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২১
বরিশাল বিভাগের নৌরুটে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাবে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নৌযান চলাচলে বিষণ্ণতার সৃষ্টি হচ্ছে। বরিশাল বিভাগের ৩১টি নৌরুটের মধ্যে মাত্র চারটিতে পর্যাপ্ত গভীরতা রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে এর বাইরে যদিও ১২ ও ২৪ নেভিগেশন রুট প্রকল্পের আওয়তায় তিনটি রুট রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এবং একটি রুট বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের আওতায় এরই মধ্যে রয়েছে। ‘বরিশাল বিভাগের নদীসমূহের নাব্য বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হ্রাস, জলাভূমি বাস্তু পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধাদি বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষা প্রকল্পের সংক্ষিপ্তকরণ বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বাকি ২২টি রুটের প্রধান সমস্যা নৌযান চলাচলে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব। তবে ২২টির গোটা পথজুড়েই যে এমন সমস্যা রয়েছে তাও আবার নয়, বিশেষ বিশেষ জায়গাতে গভীরতার অভাব রয়েছে। যেমন বাকেরগঞ্জ-মির্জাগঞ্জ ৩৫ কিলোমিটারের এ রুটে রামপুর ব্রিজ থেকে ভাটিতে নৌযান চলাচলে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব রয়েছে। আবার বরিশাল-ঝালকাঠি-বরগুনা-পাথরঘাটা ১১৭ কিলোমিটারের এ রুটে নিয়ামতি ও মোকামিসয়া ঘাটের সামনে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব রয়েছে। এ রকম হিজলা-সাতহাজার বিঘা-বরিশাল ৬১ কিলোমিটার এ রুটের আজিমপুর নদীতে, ভাণ্ডারিয়া পশারিবুনিয়া-ইকরি-তুষখালি ৩৬ কিলোমিটার রুটের ভাণ্ডারিয়াসহ বিভিন্ন রুটের বিভিন্ন স্থানে পানির গভীরতার অভাব রয়েছে।
৩১টি রুটের মধ্যে বাকেরগঞ্জ থেকে মির্জাগঞ্জ ৩৫ কিলোমিটার রুটের সীমান্তনালা নদী বাকেরগঞ্জে শুকিয়ে গেছে। ভাণ্ডারিয়া থেকে পশারিবুনিয়া ও ইকরি হয়ে তুষখালি পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার রুটের পোনাদন নদী পাশারিবুনিয়া থেকে ইকরি পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। এছাড়া গাবখান থেকে ধানসিঁড়ি-রাজাপুর হয়ে নিয়ামতি বাজার পর্যন্ত ২৬.৫ কিলোমিটার রুটের রাজাপুরে ধানসিঁড়ি নদীও শুকিয়ে গেছে।
এসব নদী ড্রেজিং বা খনন করার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবনায়। তবে আঙ্গারিয়া থেকে মির্জাগঞ্জ ২২.৫ কিলোমিটার রুটের বুড়িশ্বর-পায়রা নদীতে ভাঙন প্রবণতা বেশি হওয়ায় সেখানে চর ড্রেজিং ও নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে বরিশাল নগরের সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে বিআইডব্লিউটিএ’র আয়োজনে বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।