ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাউফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

ইউসুফ আলম সেন্টু, বাউফল (পটুয়াখালী)
🕐 ৭:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২১

বাউফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক বিদ্যালয়ে নতুন শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫৫০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে করোনাকালীন আয় রোজগার কমে যাওয়া অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, সকল শিক্ষকরা অভিন্ন ফিস নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চিঠিতে আমি সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে ফিস আদায়সহ সকল ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে।

সূত্র জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। এর আগে ১৬ নভেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বাউফলের ৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৬টি দাখিল মাদ্রাসার প্রধানদের সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ফিস নির্ধারণের জন্য নয় সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

বাউফল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ছিটকা মহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা মরিয়ম বেগম নিশুকে ওই কমিটির আহবায়ক করা হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সেশন ফি গ্রহণ করবেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি চিঠি প্রেরণ করেছেন। ওই চিঠির আলোকে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে উপজেলার প্রায় সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের খবর দিয়ে নতুন শ্রেণিতে ভর্তির নির্দেশ দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

কালিশুরী বন্দরের দিনমজুর সোবাহান বলেন, ছেলেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করতে ৬০০ টাকা চেয়েছেন শ্রেণি শিক্ষক। করোনার কারণে আমার আয় রোজগার কমে গেছে। একই সঙ্গে ৬০০ টাকা দিতে হলে আমাকে ধারকর্জ করতে হবে।

মমিনপুর গ্রামের জেলে রফিক, আদাবাড়িয়া কৃষক রহমান ও দাসপাড়ার শ্রমিক কাওসার বলেন, ভর্তির জন্য টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। করোনা উপলক্ষে ভর্তির ফিস মওকুফ করার দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে।

তবে ফিস নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে আগ্রহ হারানোর আশঙ্কায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফিস নেইনি।

উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ফিস নির্ধারণ কমিটির আহবায়ক মরিয়ম বেগম নিশু বলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা করোনাকালীন প্রযোজ্য হবে না। তবে নতুন বছরের সেশন ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এখনো পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি।

 

 
Electronic Paper