বাউফলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ভোগান্তি
ইউসুফ আলম সন্টেু, বাউফল (পটুয়াখালী)
🕐 ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
জনবল কাঠামোর সংকটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের লক্ষাধিক সুবধিাভোগী। বাউফল উপজেলায় সরকার শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন করার কার্যক্রম হাতে নেয়ায় সুবধিাভোগী সংখ্যা বেড়েছে। কিন্ত সেই অনুপাতে জনবল কাঠামো বাড়ানো হচ্ছে না।
পুরাতন জনবল কাঠামো দিয়েই চলছে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগীদের সেবা কার্যক্রম। ফলে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম।
পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার একে আজাদ বলেন, শতভাগ বিদুতায়নের ফলে যেভাবে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে, সেই হারে জনবল বাড়েনি। তাই জনবল সংকটে আমারা গ্রাহকদের কাঙ্খিত বিদুৎ সেবা দিতে পারছি না।
কোন কারণে বিদুতের সমস্যা দেখা দিলে জনবলের অভাবে বিদুতের লাইন পুনরায় সচল করতে অনেক সময় লেগে যায়। কাঙ্খিত বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করতে হলে অবশ্যই নতুন করে জনবল কাঠামো বাড়াতে হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাউফল উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা এক লক্ষ পাঁচ হাজার। এই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবা প্রদানে ৪৪ জন লাইনম্যানের প্রয়োজন হলেও আছে ২৯ জন। অভিযোগ কেন্দ্রের প্রয়োজন সাত হাজারে একজন করে মোট ১৫টি। সেখানে রয়েছে মাত্র চারটি।
এজিএম (কম) আছেন একজন, প্রকৌশলী আছেন তিনজন। বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা অনুসারে আরও এজিএম (কম) ও প্রকৌশলী প্রয়োজন যা জনবল কাঠামোতে নেই। বিলিং ও মিটার রিডার প্রয়োজন ৫৭ জন, কিন্তু কাজ করছে ৩৬ জন। এই স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে গ্রাহক সেবা প্রদান করতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক হেলথ কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জলিলুর রহমান বলেন, কারণে-অকারণে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর আবার ফিরে আসতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার হয়ে যায়।
এ সময়ে জেনারেটার দিয়ে ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। যা অনেক ব্যয় বহুল। ফলে ভোগান্তিসহ অর্থনৈতিক লোকসানে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অথচ এ ব্যাপারে পল্লীবিদুৎ কর্তৃপক্ষ কোন ভূমিকা নিচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।