শাহজাহান ওমরের বক্তব্যে তোলপাড়
দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপি নেতা কর্মীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২০
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের দেওয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঝালকাঠিসহ দক্ষিণাঞ্চলে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার ওমর বলেন, ‘তারেক সাহেব থাকেন লন্ডনে। লন্ডনে বসে কথা বলা বা ভাব আদান-প্রদান করা তো ডিফিকাল্ট জব। মাঝে মাঝে তিনি স্কাইপিতে কথা বলেন। এতে করে পার্টিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তারেক সাহেব কতখানি চালাতে পারবেন, আপনারাও দেখেন, আমিও দেখি।’
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে শাজাহান ওমরের বলেন, শত ইচ্ছা থাকলেও বেগম জিয়ার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ খুবই কম।’
ঝালকাঠি বিএনপির নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের এই বক্তব্যে ঝালকাঠিসহ দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গত কয়েকদিন শাহজাহান ওমরের এই বক্তব্যই ছিল ঝালকাঠি জেলা বিএনপিতে টক অব দ্য টাউন।
এদিকে শাহজাহান ওমরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মাহবুবুল হক নান্নুর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, শাহজাহান ওমরের বক্তব্যের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের ঐক্যের প্রতীক। ওমর সাহেব হয়তো তার অর্থসম্পদ রক্ষা করতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কখনই মনে-প্রাণে বিএনপি করেননি। পরিস্থিতির কারণে বিএনপি করেছেন।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, শাহজাহান ওমরের বক্তব্যে ঝালকাঠি বিএনপিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। তার বক্তব্যকে আমি দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করছি।
তবে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বলেন, আমি কখনই বলিনি তারেক রহমানের নেতৃত্ব মানি না। কিছু মিডিয়ায় আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। আর আমি যে কথা বলেছি সত্যই তো বলছি।
বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবেই হোক তাকে জেল দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সে স্বাভাবিকভাবে রাজনীতি করতে পারবে না। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে রয়েছে। বিদেশে বসে দল চালানো সো ডিফিকাল্ট।
আর স্থায়ী কমিটির চার/পাঁচটি পদ এখনো অপূর্ণ রয়েছে। স্থায়ী কমিটির মধ্যে যারা বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ তাদের দিয়ে নীতি-নির্ধারক হবে? তাদের উপদেষ্টা কমিটিতে নিয়ে পুরনো, দলে আনুগত্য আছে এবং যারা সুস্থ স্বাভাবিক আছেন তাদের দিয়ে স্থায়ী কমিটি গঠন করে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।