ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পেয়ারা চাষির কোটি টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে

শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ২:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০

ঝালকাঠির পেয়ারা সারা দেশেই সমাদৃত। এখানকার ছোট ছোট গাছে ঝুলে থাকা পেয়ারা ও পেয়ারার ভাসমান হাটের অপরূপ দৃশ্য যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। প্রতিদিনই এ পেয়ারা বাগানে ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক।

তবে যারা শ্রম দিয়ে ও অর্থ খরচ করে এ অঞ্চলে বহুবছর ধরে পেয়ারা চাষ করে আসছেন, সেই পেয়ারাচাষিদের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হয়না মধ্যসত্ব ভোগীসহ নানা কারণে। এবার করোনার প্রভাবে এ অঞ্চলের পেয়ারাচাষিদের অবস্থা আরো করুণ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিবছর পেয়ারার সিজনে ভোক্তা পর্যায়ে পেয়ারা বিক্রির প্রায় ২৫ কোটি টাকা চলে যায় মধ্যসত্ব ভোগীদের পকেটে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠিতে জেলায় মোট ৮শ’ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়। এখানে সদর উপজেলার দুই হাজার চাষিসহ জেলায় মোট পাঁচ হাজার পেয়ারাচাষি রয়েছে।

জেলায় পেয়ারার মোট উৎপাদন ৯ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন। ভোক্তা পর্যায় এর বিক্রয়মূল্য ৪০ কোটি টাকা। তবে চাষিরা পান ১৫ কোটি টাকা। বাকি ২৫ টাকা চলে যায় মধ্যসত্ব ভোগীদের পকেটে।

অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, আসলে মধ্যসত্বভোগীদের কারণে পেয়ারাচাষিরা লাভবান হতে পারছে না। তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কৃষি বিভাগের নেই। জেলা প্রশাসনই বিষয়টি দেখতে পারে।

পেযারাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে যারা পেযারা বিপণনের সঙ্গে জড়িত তার ৭০ শতাংশই পেযারাচাষি নন বা বাগানের মালিক নয়। তারা চাষিদের কাছ থেকে বাগান কিনে বেপারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এভাবে দুই তিন পর্যায় বিপণন হওয়ার কারণে উৎপাদনকারী পেয়ারাচাষিরা আর লাভবান হতে পারে না।

 
Electronic Paper