মহাসড়কে পশুর হাট
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
🕐 ১:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৮
বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাঘরী হাটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কের ওপরে অবৈধ গরুর হাট বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও হাট কর্তৃপক্ষ বাঘরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করেও গরুর হাটের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যানবাহন ও যাত্রীদের যেমন ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে তেমনি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তী কমাতে মহাসড়কে গরুর হাট না বসাতে প্রসাশনের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না বাঘরী হাট কর্তৃপক্ষ। হাটের নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর গরুর হাট বসিয়েছেন হাটের ইজারাদাররা। ফলে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের এ এলাকায় হাট চলাকালীন যানজট তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়াও ছোট-বড় দুর্ঘটনায় কবলে পড়ছেন পথচারী ও হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বাঘরীতে সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবার এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট বসে। তবে ঈদ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই গরুর হাটের কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
বরিশাল-খুলনা রুটের বাস চালক মো. ইব্রাহিম হাওলাদার জানায়, বরিশাল থেকে খুলনা যাওয়ার পথে সড়কে তেমন কোনো যানজট না থাকলেও রাজাপুরের বাঘরী হাট এলাকার আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে বেকুটিয়া ফেরিতে উঠতে পারছি না। এছাড়া গ্রাম থেকে আনা গরুগুলো বাসের হর্ন শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এতে হাটে আশা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হয়।
বাঘরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ঈদের আগে শনি, রোব ও সোমবার বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। কিন্তু গরুর হাটের কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয় মাঠ ও বারান্দায় গরুর গোবরের গন্ধে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পাঠদানে মনোযোগ দিতে পারছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাট কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, ‘মহাসড়কে পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’