ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঝুঁকিপূর্ন ভবনেই চলছে কৃষি ব্যাংক গাবুয়া শাখার কার্যক্রম

উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
🕐 ২:২১ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২০

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের গাবুয়া বাজার শাখার কার্যক্রম। প্রতিদিনই ভবনের কোন না কোন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সম্প্রতি ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের মাথার উপরে ছাদের রড ভেঙে সিলিং ফ্যান পরে সামনের টেবিলেই ভেঙে পড়ে।

তখনসেখানে তিনি বসা ছিলেন না। এমনকি ভবনটির দরজা জানালা জরাজীর্ণ। বর্ষা হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে কক্ষের ভিতরে রাখা মূল্যবান কাগজত্রসহ কয়েকটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম। পুরানো এই ভবনের সবখানেই মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। এরকম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংক গাবুয়া শাখার কার্যক্রম। যেকোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গাবুয়া শাখা অন্যত্র ভবনে স্থানান্তরে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানালেও কোন সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। 

সরজমিনে গিয়েদেখাগেছে, ভবনের দরজা, কম্পিউটার রুম, জানালা মেইন ভবনের ছাদে বড় ফাটলদেখা দিয়েছে। এতে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নব্বই দশকে ইউপির জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হয় বলে জানান শাখা ব্যবস্থাপক। ওই সময়ে গাবুয়ায় ভবন নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জমি না থাকায় একটি খাস পুকুরে বালি দিয়ে ভরাট করে নতুন ভবন নির্মাণ করায় ভবনটি অল্প সময়েই জরাজীর্ন হয়ে পড়ে। পরে ২০০৬ সালে ২০ সেপ্টেম্বর কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের শিংবাড়ি নামক স্থানে নতুন কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উদ্বোধন করা হলে কৃষি ব্যাংক গাবুয়া শাখাটি টিনশেড ঘর থেকে গাবুয়া বাজারে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে স্থানান্তর করে কার্যক্রম চলে আসছে। এমনকি ভবন সংস্কারের প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। এ শাখা হতেপেনশনবেতন ভাতা, অবসর ভাতা, কল্যাণ ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিধবা, বয়স্ক, মাতৃত্বকালীন ভাতা পরিশোধ করা হয় গ্রাহকদের।

গ্রাহকরা জানান, এ ব্যাংকে সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় প্রায়ই টাকাপেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। প্রায় প্রতিদিন মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখা থেকে টাকা এনে গ্রাহকদের চাহিদা মাফিক টাকা পরিশোধ করা হয়। আবার বয়স্ক ও বিধবা ভাতা উত্তোলন করতে আসাদের ভোগান্তিরযেন শেষ নেই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভাতাভোগীদের তাদের ভাতার টাকা দিতে না পারায় তাদের দুই থেকে তিন দিনও আসতে হয় এখানে।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গাবুয়া বাজার শাখার ব্যাঞ্চ ম্যানেজার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ব্যাংকিং সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয় না জানি কখন পলেস্তারা খসে বা ছাদ ধসে মাথার ওপর পড়ে। আমার ষ্টার্ফরা সব সময় উৎকন্ঠার মধ্যে থাকে।

বৈশাখের এই তাপদাহে ভবনে ফ্যানও লাগাতে পারিনা ঝুঁকির কারণে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার ভবনটি পরিদর্শন করেছেন কিছুদিন আগে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। গ্রাহকদেরসেবার মান বজায় রাখতে সর্বাত্মক আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে। ইউএনও সরোয়ার হোসেন জানান, আমি তিন থেকে চার মাস আগে উপজেলার কৃষি ব্যাংক গাবুয়া বাজার শাখা পরিদর্শন করেছি। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন তাই উর্ধ্বতন ব্যাংক কৃর্তপক্ষকে অবহিত করেছি এবং ওই ভবন থেকে কৃষি ব্যাংকের শাখাটি স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে।

 

 
Electronic Paper