ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় টানা বর্ষণে প্লাবিত ফসল

ছোটন সাহা, ভোলা
🕐 ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০

ভোলায় গত পাঁচ দিনের টানা বর্ষণে পানিতে তলিয়ে আছে কৃষককের ফসল। বিশেষ করে ফেলন, মুগ, মরিচ ও সয়াবিন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছে চাষিরা। যে মুহুর্তে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবেন সেই মুহুর্তে বৃষ্টি তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়েছে। এতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। একদিকে করোনা অন্যদিকে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা ভাবিয়ে তুলেছে তাদের।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কিছু ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হলেও বৃষ্টি আরও অব্যাহত থাকলে ক্ষতি হতে পারে। কৃষকের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ২৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশীরভাগ ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, মাটি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিগত বছরের মত এ বছরও জেলার অন্য এলাকার মত সদরের ভেলুমিয়া ইউনিয়নে ফেলন, মুগ, মরিচ ও সয়াবিনের ভালো ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলবেন এমন অপেক্ষা করছিলেন তারা। কিন্তুু টানা বর্ষণে বিস্তীর্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে। সেখান চারশ হেক্টর সয়াবিন, ৬০ হেক্টর ফেলন ও ১০০ হেক্টর মরিচের ক্ষেত ডুবে গেছে।

স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র শীল জানান, বৃষ্টির কারণে সয়াবিন ৭০ ভাগ এবং ফেলন ও মরিচ পুরো ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কৃষকদের পরাপর্শ দিচ্ছি।

ভেলুমিয়া ইুইনয়নের চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের কৃষক ওমর আলী জানান, এক একর জমিতে মুগ ও ১৬ গন্ডা জমিতে সয়াবিন চাষ করেছেন। এতে উৎপাদন ব্যায় হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফেলন গাছে পচন এবং সয়াবিন গাছ হেলে গিয়ে ঝড়ে গেছে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এসব ফলনের আবাদ করেছি, কিন্তু আমি দিশেহারা।

কৃষক সামসুদ্দিনে স্ত্রী হোসনে আরা বলেন, আমরা শুধু কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করছি, লাভের আশায় এবছরও জমি লগ্নি করে সয়াবিন, ফেলন ও মুগের আবাদ করেছি। বৃষ্টিতে ক্ষেত ডুবে আছে।

আরেক চাষি সিরাজ বলেন, এ বছর ২ কানি জমিতে সয়াবিন, এক একর জমিতে মুগ ও ৩ গন্ডা জমিতে ফেলন আবাদ করে দুশ্চিন্তায় আছি, বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে, পানি নিস্কাশন করলেও গাছ নষ্ট হয়েছে গেছে। দু’একদিনের মধ্যে ফলন ঘরে তোলার কথা ছিলো। কিন্তু মনে হয় ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হবে।

জেলা কৃষ্টি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক হরলাল মধু বলেন, এখন যে অবস্থা আছে, তাতে তেমন ক্ষতির দিকে যায়নি। তবে বৃষ্টি আরও হলো ক্ষতি হবে। আমরা কৃষকদের ক্ষেত নিস্কাশন করার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাগন আক্রান্ত ক্ষেতের তালিকা তৈরী করছে।

এ বছর জেলায় ৩৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে মুগ, ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ফেলন, ১৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ ও ৯ হাজার ৭৭৯ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে।

 

 
Electronic Paper