ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় করনো আতংকে পাল্টে গেছে হাসপাতালের চিত্র

ছোটন সাহা, ভোলা
🕐 ১২:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০১, ২০২০

করোনা ভাইরাস আতংকে পাল্টে গেছে জেলা সদর হাসপাতালের চিত্র। আতংকিত হয়ে কমে গেছে রোগীদের চাপ। খুব বেশী অসুস্থ্য না হলে হাসপতালে এসে ভিড় করছে না রোগীরা। আউরডোরের মত একই চিত্র ইনডোরেও। বেশীরভাগ ওয়ার্ডেই যেন রোগী শুন্য।

জরুরী বিভাগে দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোলা সদর ১০০ শয্যার হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীদের চাপ অনেক কম। যেখানে প্রতিদিন রোগীদের চাপে হিশশিম খেতে হতো চিকিৎসক ও নার্সদের সেখানে এখন রোগীদের চাপ নেই বললেওই চলে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মাত্র ৫২ জন রোগী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড, স্কেনো, পুরুষ ও মহিলা সার্জারী, মেডিসিন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা গেছে বেশীর ভাগ বেড (শয্যা) শুন্য। দু’একটি বেডে রোগী ও তাদের তাদের স্বজনরা অবস্থান করছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ৪ জন, শিশু ওয়ার্ডে ৫ রোগীকে দেখা গেছে চিকিৎসা নিতে। অন্য ওয়ার্ডেও যেন একই চিত্র। জরুরি রোগী ছাড়া কেউ হাসপাতালে আসতে চায় না।

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত একজন স্টাফ নার্স জানান, আজকে শিশু রোগীর চাপ অনেক কম, অনেকেই হাসপাতালে আসছে না।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসব ডা: ফারজানা খান জুতি বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকের কারনে রোগীদের চাপ কম। হাসপাতালে জ্বর, সর্দি ও কাশী রোগী নেই বললেই চলে। অন্য রোগীও কম।

তিনি বলেন, কোন রোগীর যদি করনোর প্রাথমিক কোন উপসর্গ সন্দেহ বলে মনে হয়, তাহলে তাদের তাৎক্ষনাত করোনা ইউনিটে ভর্তি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে, সব মিলিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ৭২জন। একদিকে করোনা ঝুঁকি অন্যদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় রোগীর চাপ অনেক কমে বলে মনে করেন তিনি।

বলেন, আউট ডোরের চিত্র একই অবস্থা। সেখানেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের ভীড় নেই। তারপরেও আসাদের চিকিৎসক ও নার্স রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে হাসপাতালে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে গোল চিহ্ন একে দেয়া হয়েছে। সেখানে অবস্থান করে আগত রোগী ও তাদের স্বজনদের করতে দেখা গেছে। জীবানুনাশক স্পে ছিটাচ্ছে রেডক্রিসেন্টকর্মীরা।

অন্যদিনের তুলনায় হাসপাতালে ভীড় নেই, রোগীদের সাথে দর্শনার্থীদের চাপও নেই। হাসপাতালে বিরাজ করছে কোলাহলমুক্ত সিমসাম নিরবতা।

 
Electronic Paper