থানা হেফাজতে আসামির মৃত্যু
আমতলী থানার ওসি প্রত্যাহার
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০
বরগুনার আমতলী থানা হাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আমতলীসহ দেশব্যাপী তোলপার সৃষ্টি হওয়ায় আমতলী থানার ওসি আবুল বাশারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের এক আদেশে বরিশাল ডিআইজির নির্দেশে বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, ওই ঘটনায় বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ,এসপি পদায়ন) তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করে দেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বরগুনা সদর) মহব্বত আলী ও সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলাম।
দায়িত্ব অবহেলার দায়ে তাৎক্ষনিক বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফ হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে গত শুক্রবার পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের এক আদেশে বরিশাল ডিআইজি শফিকুল ইসলামের নির্দেশে বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আমতলী থানার ওসি আবুল বাশারকে আমতলী থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ।
এদিকে, আমতলী থানার ওসি আবুল বাশারকে আমতলী থানা থেকে প্রত্যাহর করায় নিহত শানুর পরিবারসহ আমতলীবাসীর মধ্যে সস্তি ফিরে এসেছে। তবে থানা হাজতে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওসি আবুল বাশারসহ সকলের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, একজন নির্দোষী মানুষকে থানা হাজতে টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহত শানু হাওলাদারের ছেলে সাকিব বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি। তিনিই টাকা না পেয়ে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকারী ওসির দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তদন্ত কমিটির প্রধান বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, থানায় আসামির মৃত্যুর মূল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কাজ শুরু করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই তদন্ত কাজ শেষ হবে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে আমতলী থানার ওসি আবুল বাশারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।