বাস্তবে রূপ নিচ্ছে পায়রা নদীর সেতু নির্মাণ
সুনান বিন মাহবুব, পটুয়াখালী
🕐 ৯:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পটুয়াখালী জেলাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলার সচেতনমহল। গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটার জেড (৮০৫২) পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ৩/৪ বছর আগে পটুয়াখালী সরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু উত্তাল পায়রা নদী পারাপারে ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে শীর্ষেন্দু লেখে, ‘আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বাবার নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং মায়ের নাম শীলা রাণী সন্নামত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল নিয়ে রচনা লিখে আমি তৃতীয় স্থান অর্জন করি। আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। আমাদের গ্রামের বাড়ি যেতে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদী পার হয়ে যেতে হয়। ওই নদীতে প্রচ- ঢেউয়ের কারণে কখনও নৌকা ডুবে যায়, কখনও কখনও ট্রলার ডুবে যায়। এসব দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আমি আমার বাবা-মাকে হারাতে চাই না।
কারণ আমি তাদের খুব ভালোবাসি। তাই আমাদের জন্য মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু তৈরির ব্যবস্থা করুন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর চিঠিটি গুরুত্ব দিয়ে জবাবে পটুয়াখালী পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৬০০ মিটার সংযোগ সড়ক, ডায়াডাক্টসহ ১৬৯০ মিটার সেতু, ১ হাজার মিটার গাইড বাঁধ নির্মাণ, ৮ দশমিক ৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ, নিরাপত্তা সেবা, বিস্তারিত নকশা পরামর্শক সেবাসহ অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রভৃতি।