সুগন্ধা নদীর ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প
কাজ শেষের আগেই বিল
শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ৩:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০
ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কুতুবনগর মাদ্রাসাসহ ৩০ মিটার এলাকায় ব্লক স্থাপনের কোটি টাকার কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুন্নয়ন রাজস্বখাত প্রকল্পের আওতায় সুগন্ধা নদী তীরের ভাঙন প্রতিরোধে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। দুদফায় কাজের শেষ মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। অথচ ভাঙন কবলিত স্থানে কোন ব্লক ফেলা না হলেও ঠিকাদারকে ৫৫ লাখ টাকার বিল প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে, এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে যারা কাজ করেছে এ দায় তাদের। এদিকে সুগন্ধা নদীর কুতুবনগর এলাকায় ভাঙন তীব্র হওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে গেছে অনেকেই। অনেকে সব হারিয়ে এখন প্রতিবেশীদের আশ্রয়ে রয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সনের জুলাই মাসে এ কাজ শেষ করার প্রথম ধাপের সময় ছিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় কাজ শেষ করার সময় ছিল এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ঠিকাদার দুলাল হাওলাদার ২০১৯ সনের ২৯ এপ্রিল কাজ শুরু করার দিন থেকে ব্লক না ফেলে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছে।
সূত্র জানায়, কুতুবনগর এলাকায় মাদ্রাসা থেকে পূর্ব দিকে ৩০ মিটার ব্লক ফেলার জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরমধ্যে ১১ হাজার ২১টি ডাম্পিং ব্লক, ১২শ প্লেসিং বল্ক এবং ৪ হাজার ৩৩০ জিও ব্যাগ ফালানোর কথা ভাঙন কবলিত স্থানে। কাজের কাজ কিছুই না হওয়ায় ঠিকাদারকে ইতোমধ্যেই এ কাজ দ্রুত সম্পাদনের চিঠি দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু চিঠির কোন জবাব না দিলেও ঠিকাদারকে ৫৫ লাখ টাকার বিল প্রদান করেছে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর সাহাবুদ্দিন আজাদ বলেন, আমার লাইসেন্সে কাজ করেছে পৌরসভার কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার।
কাউন্সিলর দুলাল জানান, ৫৫ লাখ টাকা এনেছি ব্লক তৈরির জন্য। তা তৈরি করা হলেও ফান্ড না থাকায় ব্লক ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে দিন টাকা দিবে সেদিন ব্লক ফেলার কাজ শেষ করে দেব।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য চূড়ান্ত সময় বেধে দেওয়া হবে।