ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম

নৌকা-জাল এখন ডাঙায়

ইউসুফ আলম সেন্টু বাউফল (পটুয়াখালী)
🕐 ২:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০

পটুয়াখালীর বাউফলে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল এই দুই মাস তেঁতুলিয়া নদীতে অভয়াশ্রম ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ কারণে তেঁতুলিয়ার ২৫ কি.মিটার নদী এলাকায় সকল প্রকার জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তাই ডাঙায় জাল ও নৌকা অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা।

ফলে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের ব্যয়ভার মিটাতে ধার-দেনা করতে হয়। এদিকে, সরকারিভাবে এ বছর বাউফলে ৫১৫০ জন জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার নিমদী, কালাইয়া, চরওয়াডেল এলাকায় দেখা যায়, নদীতে যে সব জেলেরা মাছ আহরণ করত, সেসব জেলে মাছ ধরার নৌকা ধুয়ে মুছে ডাঙায় তুলেছেন। তাছাড়া জাল মেরামতের জন্য নদীর পাড়ের সমতল ভূমিতে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালগুলোতে জেলেদের নৌকা এনে জড়ো করে রাখা হয়েছে। নদী সংলগ্ন ইউনিয়নগুলোতে জেলেরা যাতে নদীতে না নামে এবং ইলিশের পোনা জাটকা আহরণ না করে এ জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

নিমদী এলাকার জেলে রহিম ব্যাপারী বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের দুই মাস বেকার থাকতে হয়। তাই আয় রোজগার বন্ধ থাকে। সরকার শুধু ৪০ কেজি চাল দেয়। তাতে আমাদের সংসার চলে না, অন্যান্য খরচ আমরা কোথায় পাব। তাই ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের ব্যয়ভার মিটাতে ধার-দেনা করতে হয়।

একইভাবে জেলে পরিবারের কষ্টের কথা জানালেন ওই এলাকার ইউনুছ গাজী, জব্বার শিকদার ও জাহাঙ্গীর ব্যাপারীসহ শতাধিক জেলে।

বাউফল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অহেদুর জামান বলেন, এবার অভয়াশ্রম বাস্তবায়নের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কোন জাল ফেলব না, জাটকা মাছ ধরব না’।

তিনি আরও বলেন, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

 

 
Electronic Paper