ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় কমেছে পরিযায়ী পাখি

ছোটন সাহা, ভোলা
🕐 ৩:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০

এক পাশে নদী-সবুজের বন অন্য দিকে পাখিদের দল উড়ে বেড়ানো এমন সৌন্দর্য আর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। কখনো বিস্তীর্ণ মাঠ, কখনো চর ও সবুজের বাগানে বাহারি রঙয়ের পাখিদের উড়ে বেড়ানো, খাবার খাওয়া, কিচির-মিচির ডাক আর কলতানে মুখর চারদিক। মৌসুম শেষ হয়ে এলেও এখনো এমন চিত্রই দেখা যায় ভোলার উপকূলের দুর্গম চরাঞ্চলে। অন্য বছরের মতো এ বছরেও বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ অতিথি বা পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে। কিন্তু শিকারীদের কারণে পাখিরা নির্বিঘ্নে বিচরণ করতে পারছে না। কমে যাচ্ছে পখিদের আগমন।

খাবারের সঙ্গে বিষ টোপ মিশিয়ে দিয়ে নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন করছে শিকারি চক্র।

এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে পাখিদের সংখ্যা। চরগুলো পাখিদের কলকাতনে মুখরিত হয়ে উঠলেও শিকারিদের কারণে স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে একদিকে পাখিদের আগমন কমে গেছে অন্যদিকে বনের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। পাখি শিকার বন্ধে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও যেন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না শিকার।

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীত মৌসুমে সাইবেরিয়াসহ শীত প্রধান দেশ থেকে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় লাখ লাখ পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটেছে। বিশেষ করে সদরের মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুর, বৈরাগীর চর, বোরহান উদ্দিনের পাতার চর, ডুবার চর, চর সমির উদ্দিন, চরফ্যাশনের তারুয়া, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলা, ঢালচর, মনপুরা উপজেলার কলতলী ও ঢালচরসহ অর্ধ-শতাধিক চরে পাখিদের কলকাতনে মুখর হয়ে উঠে।

এসব পাখিদের কলতানে পর্যটকরা মুগ্ধ হোন। পাখির ছবি ক্যামেরা বন্ধি করেন। এসব দুর্গম চরাঞ্চল পাখির জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হওয়ার কথা থাকলেও চোরা শিকারীদের কারণে তাদের কোন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে পাখিদের বিচরণ। খাদ্যের সন্ধানে ছুটে আসা নানা রঙয়ের এসব পাখি মারা পড়ছে শিকারীদের হাতেই।

ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, পাখি শিকার ও বন্যপ্রাণি হত্যা বন্ধে মোবাইল টিম গঠন করেছি, প্রতিটি বিট থেকে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়াও অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 
Electronic Paper