ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেড়েরধন নদীর ভাঙা সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

বরগুনার বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সীমান্তে বেড়েরধন নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতুটি পুন: সংস্কার না করায় দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ সেতু দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে পারাপার হচ্ছে উপজেলাবাসী।

ফলে ব্রিজটি এখন দুই উপজেলাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে অতি সহজে পটুয়াখালী-বরগুনা-বাগেরহাট ও খুলনায় যাতায়াত করা যায়, কিন্তু ভাঙা হওয়াতে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। ব্রিজের ওপরে পাতাগুলো ভেঙে বড় বড় ফাঁক হয়ে ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী ফাঁকা জায়গায় গাছ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

জানা যায়, ১৯৯৩-৯৪ সালে এলজিইডি বিভাগ ব্রিজটি নির্মাণ করে। ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার হাজারোও লোকজনসহ ৫-৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হওয়ার সময় প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধাসহ অসুস্থ রোগী ও মা-বোনদের।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই দুই উপজেলাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই স্থানে একটি নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতরকে অবহিত করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, মির্জাগঞ্জে এর আগেও একটি মাল বোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় ডোমরাবাদ এলাকায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এরকম যাতে না ঘটে সে লক্ষে উপজেলা প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হবে যাতে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম উর রশিদ জানান, ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি পরিদর্শন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

 
Electronic Paper