ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান

ইউসুফ আলম সেন্টু, বাউফল (পটুয়াখালী)
🕐 ৩:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০

স্কুল ভবনের ছাদ কিংবা দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে। রয়েছে যে কোন সময় দুর্ঘটনায় হতাহতের আশঙ্কা। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ায় লোহর রড বের হয়ে গেছে। ফাটল ধরেছে দেওয়ালে। প্রতিটি কক্ষের মেঝে দেবে গেছে। টিনের চালা ও দরজা-জানালায় মরিচায় অধিকাংশ নষ্ট হয়ে ভেঙে গেছে। মেরামতের অযোগ্য হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল ভবন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে ওই ভবনেই চলছে পাঠদান। এমনই করুণ চিত্র বাউফলের ৭৮নং কোটপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

স্থানীয়রা জানায়, ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭০ জনসহ শিক্ষক আছেন ৭ জন। পাঠদান চলে দুই সিফটে। ব্রিকওয়ালের একরুমের টিনসেট এবং দুই রুমের অপর এক টিনসেটের জরাজীর্ণ ভবনসহ ব্রিকওয়ালের ওপর ছাদ তুলে ১৯৫০ সালে নির্মাণের পর কয়েক দফা সংস্কার হলেও ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ওই ভবনেই চলছে ৫৬ শিক্ষার্থীর ক্লাস।

এছাড়া উপজেলার মধ্য দাসপাড়া, আলী আকবর আদর্শ, কালাইয়া বোর্ড, মেহেন্দিপুর, ঘুচরাকাঠি, সুলতানাবাদ-উত্তর নাজিরপুর, উত্তর-পূর্ব মদনপুরা, মধ্য কাছিপাড়া, পশ্চিম গোসিংগা, পশ্চিম গোয়ালিয়াবাগা, মধ্য গোয়ালিয়াবাগা, জয়ঘোড়া, নারায়নপাশা, পশ্চিম বটকাজল কলুবাড়ি, দিঘীরপাড় এসডিও, গুলিঠামৌজ ও আড়াইনাও সরকারি প্রাথমিক স্কুলসহ আরও কয়েকটি স্কুলের একাধিক ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য শামসুন নাহার শিল্পী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে শিক্ষার্থীর মনে কাঁপন ধরে। ভয়ে তারা স্কুল আসতে চায় না। শিঘ্রই ভবন নির্মাণ করা না হলে পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হবে।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজনিন সুলতানা বলেন, ‘যে কোনো সময় ভবন ধসে যেতে পারে। ২-৩ বছরেও ভবন মেরামতের বরাদ্দ মেলেনি। প্রতিদিন আতঙ্কের মাঝে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। এমপি, জনপ্রতিনিধিসহ উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছি।’

বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, দুই-তিন বছর ধরে চাহিদা দেওয়া হচ্ছে। এ বছরও ওই বিদ্যালয়ের ভবনের চাহিদা দিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

 
Electronic Paper