ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শব্দদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বেতাগীতে

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯

বরগুনার বেতাগীতে রাস্তাঘাটে বৈধ ও অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল এবং উচ্চমাত্রার শব্দে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বাসিন্দারা। দেড় লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ জনপদের বিভিন্ন সড়ক পথে প্রতিনিয়ত বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রলি, মাহিন্দ্রসহ শতশত যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

রাস্তাঘাটে খুব একটা যানজট না থাকলেও ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও চালকদের অদক্ষতা এবং বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় যেমন প্রাণহানী ঘটে তেমনি হাইড্রোলিক হর্ন (উচ্চমাত্রার) ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে দিন-রাত এসব বৈধ-অবৈধ যানবাহনের উচ্চমাত্রার হর্নের শব্দে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়ছেন বাসিন্দারা।

সচেতন নাগরিক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছোবাহান বলেন, পৌরসভা এলাকায় দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে যানবাহনের অতিরিক্ত শব্দে সড়কের পাশে বাসা-বাড়িতে মানুষ বসবাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান পরিচালনার দাবি জানান।

পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী স্বাভাবিক শব্দের মাত্রা ৭০ এবং শিল্প এলাকায় ৭৫ ডেসিবেল কিন্তু হাইড্রোলিক হর্ণে ১০০ ডেসিবেলের চেয়েও বেশি শব্দ হয়। বর্তমানে ছোট বড় প্রায় সব যানবাহনে অবাধে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে। যা পরিবেশকে প্রতিনিয়ত বিপদগ্রস্ত করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং বলেন, শব্দদূষণে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। নিয়মিত শব্দদূষণ স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি বিনষ্ট করে এবং একপর্যায়ে কৃত্রিম যন্ত্র দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি শুনতে পান না।

 
Electronic Paper