প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে কুয়াকাটা সৈকত
সোলায়মান পিন্টু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
🕐 ৯:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৮
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বেলাভূমি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে অব্যাহত বালু ক্ষয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
গত কয়েক দিনে দুই দফা জোয়ারে ২০ ফুট প্রস্ত সৈকতের দীর্ঘ বেলাভূমি বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সৈকতের নারিকেল বাগানসহ জাতীয় উদ্যোনের শত শত গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এছাড়া ক্রমশই ধ্বংস হতে বসেছে কুয়াকাটার মনোমুগ্ধকর ইকো পার্কটি।
সৈকতে বসা ক্ষুদে দোকানিরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেক বার স্থান পরিবর্তনও করছে। তবে ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় কুয়াকাটার স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিনিয়োগকারীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছরে সমুদ্রের অব্যাহত ভাঙনে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কুয়াকাটা সৈকত। এতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সমুদ্রের ঢেউয়ের ঝাপটায় ও অব্যাহত বালু ক্ষয়ে সৈকত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। গত ১০ বছরের ব্যাবধানে লতাচাপলী মৌজার কয়েক হাজার একর জমি সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কুয়াকাটা রক্ষা বাঁধসহ সবুজ বেষ্টনি, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ও মসজিদ-মন্দির। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৪৮ নম্বর পোল্ডারের খাজুরা-মাঝিবাড়ি ও মিরাবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ। আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ জানান, বর্তমানে সাগর উত্তাল। আস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। বিশেষ করে সৈকত লাগোয়া মাঝিবাড়ি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ চরম হুমকির মুখে রয়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, কুয়াকাটা রক্ষা বাঁধ ক্রমশই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরেজমিন পরির্দশনে করেছেন। কলাপাড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, অস্থায়ী প্রতিরক্ষার জন্য ৮০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী প্রতিরক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প আকারে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।