ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কৃষকের মাথায় হাত

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৪:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯

বাউফলের আবাদ করা আমন ধান প্রন্তিক কৃষকরা গোলায় তুলতে পারলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম না পাওয়ার কারণে মাথায় হাত পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। বর্তমানে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫৮০ টাকায়। ধানের দাম কম হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা দিশেহারা।

দেশব্যাপী মিল মালিক ও আড়ৎদার সিন্ডিকেট এবং সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু না করায় ধান বাজারের চলছে এমন বেহাল অবস্থা। ধান বিক্রি করে চাষের খরচ হওয়া টাকা না ওঠার ফলে ধান চাষ করা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদের মধ্যে।

বাউফল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বাউফলে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) এবং ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে দেশি জাতের আমন চাষ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে বাউফলে আমান ক্ষেতের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম ধানের হাট বাউফলের কালাইয়া বাজারে বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে কৃষকরা হাজার হাজার মণ ধান বিক্রির জন্য এনেছেন। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় ধান বিক্রি করতে পারছেন না। প্রতিবছর এ বাজার থেকে ধান ক্রয়ের জন্য দিনাজপুর, রংপুর, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, নওগাঁ এবং পিরোজপুরসহ দেশের অনেক এলাকা থেকে ব্যাপারিরা আসেন। কিন্তু এ বছর এখনো কোন ব্যাপারি কালাইয়া বাজারে আসেননি। স্থানীয় আড়ৎদাররাও ধান কিনছেন না। ফলে ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।

উপজেলার মমিনপুর চর এলাকার কৃষক রহিম, জব্বার ও রশিদ বলেন, ‘গত বছরও এই সময় ধানের বাজার ৮০০ টাকার ওপরে ছিল। এক মণ ধান পেতে বীজ বুনন থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত শ্রমিক এবং সারসহ প্রায় ৭০০ টাকা খরচ হয়। বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতি মণ ধানে দুইশ টাকা লোকসান হচ্ছে। এভাবে ধানের বাজার থাকলে আগামীতে আর ধান চাষ করবো না।’

সরকারিভাবে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান ক্রয় সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই প্রায় চার হাজার কৃষকদের থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে দুই হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। মাত্র চার হাজার কৃষকদের থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হলে বাকি কৃষকদের লাখ লাখ মেট্রিক টন ধান বিক্রিতে সরকারিভাবে কোন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে কী না- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি এ কৃষি কর্মকর্তা।

কালাইয়া বাজারের আড়ৎদার জয়নাল সরদার, গনি সিকদার, মানিক কৃষ্ণ কুন্ডু, কার্তিক সাহা ও গৌতম বণিকসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

 
Electronic Paper