ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চিঠিতে বন্দি বাঁধ নির্মাণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৫:২০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯

নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মধ্যে চিঠি চালাচালিতে আটকে আছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লাল্য়ুা ইউনিয়নের বিধ্বস্ত সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ কাজ। এক যুগেও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় এ ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম। তখন পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। কৃষি নির্ভর এসব গ্রামের মানুষ কাক্সিক্ষত ফসল না ফলাতে পেরে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন শহরে।

পাউবো কলাপাড়া সার্কেল সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় লালুয়া ইউনিয়নের সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। ২০১১-১২ অর্থ বছরে এমারজেন্সি সাইক্লোন রিও রিয়োশেন প্রজেক্টের (ইসিআরপি) আওতায় বিধ্বস্ত বাঁধটি যেনতেন ভাবে নির্মাণ করা হয়। বাঁধ টেকসই না করার ফলে রাবনাবাদ নদের আগ্রাসী ঢেউয়ে পুরো বাঁধটিই ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। তাও টেকসই না হওয়ায় আবারও ভেঙে যায় বাঁধটি।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস বলেন, পানিসম্পদ ও নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের কারণেই বাঁধটি হচ্ছে না। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে মানুষের ক্ষতির পরিমাণটা দিন দিন বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকায় অধিগ্রহণকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের যে জমি আছে সেগুলো পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। তাই বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখনও পানি উন্নয়ন বোর্ড জমি বুঝিয়ে দেয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে।

 
Electronic Paper