বিষখালী নদীতে ভাঙন
কেওয়াবুনিয়া গ্রামে আতঙ্ক
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
🕐 ৪:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী সময়ে বিষখালী নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পরেছে উপকূলীয় এলাকাবাসী। উপকূলীয় জেলা বরগুনার বেতাগী উপজেলার পাশ দিয়ে বিষখালী নদীর তীরবর্তী কেওয়াবুনিয়া গ্রাম প্রায় আধা কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উত্তর বেতাগী গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার নদীর তীর অব্যাহত ভাঙনের মুখে।
গত ১০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বরগুনার বেতাগী উপজেলাসহ দশটি জেলায় তান্ডব চালায়। এতে অনেক প্রাণহানী ঘটে।
বেতাগী উপজেলায় প্রাণহানী না হলেও শত শত কাঁচাঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কয়েকশত মাছের ঘের তলিয়ে যায়। বিনষ্ট হয় পানের বরজ। আমন ও রবি শস্যের বীজতলা তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বেতাগী লঞ্চ ঘাটের যাত্রী ওঠানামার সিঁড়ি ও রাস্তাসহ যাত্রীছাউনি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বলাইবুনিয়া, চরখালী, বড় মোকামিয়া, কালিকাবাড়ি, বদনিখালী, ঝোপখালী, উত্তর বেতাগী ও পুরাতন থানা এলাকায় ভাঙনের ফলে অনেক মানুষই গৃহহীন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
‘ভাঙনকবলিত উত্তর বেতাগী পুরাতন থানা রোড হাজী বাড়ি সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘মোরা কোম্মে জামু, আল্লাহ তুমি মোগো সাহায্য করো।’ কালিকা বাড়ি গ্রামের ভাঙন কবলিত বেড়ি বাঁধের বাহিরে এলাকার গৃহকর্মী শেতারা বেগম বলেন, ‘মোগো দ্যাহার কেহো নাই, মোগো ঘর-দুয়ার আর কয়দিন পর গাঙ্গে যাইবে।’ এ ব্যাপারে উপকূল নিয়ে কাজ করেন এমন একজন উপকুল সাংবাদিক মো. সুজন বলেন, বিভিন্ন সময়ে উপকূলে যে ঝড় বয়ে যায় তাদের সুরক্ষার জন্য সরকারের আলাদা মন্ত্রণালয় করে এদিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে।
এ ব্যাপারে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার আলম জানান, বুলবুলের তান্ডবে বেতাগীর বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২৫০ মিটার বেড়িবাঁধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বরাদ্দের জন্য অবহিত করেছি এবং খুব শীগ্রই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব আহসান বলেন, ‘নদীর তীরবর্তী ভাঙন কবলিত এলাকা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।