বাউফল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট
ইউসুফ আলম সেন্টু, বাউফল
🕐 ২:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯
পটুয়াখালী বাউফলে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় সাধারণ জনগণ। এমনকি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকেও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা রোগীরা। এমনই অভিযোগ বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের।
জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য আসেন বাউফলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পাশ^বর্তী অন্য উপজেলা থেকেও। হাসপাতালে ভর্তি থাকে প্রায় শতাধিক রোগী। অধিকসংখ্যক রোগীদের সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। চিকিৎসক সংকটের কারণে জরুরি বিভাগে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকল অফিসার দিয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে বর্তমানে হাসপাতলে চিকিৎসকের ২২টি পদ রয়েছে। যার মধ্যে ১৭টি পদই শূন্য। কনসালটেন্ট চারজনের বিপরীতে সব পদ শূন্য রয়েছে এবং ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে রয়েছে পাঁচজন। নার্সের (ব্রাদার) দুটি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৮টি পদ খালি রয়েছে। রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তার না পেয়ে রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না। ডাক্তার না পেয়ে অনেকেই তাদের রোগী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যাও কম। ডাক্তার সংকট থাকায় রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না।
চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা জানান, নোংরা পরিবেশ ও বেড সংকটের কারণে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা প্রশ্নবিদ্ধ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নামে এটা সরকারি হাসপাতাল, টাকা ছাড়া এখানে কোন সেবা পাওয়া যায় না। হাসপাতালের কর্মরত সেবিকাদের ব্যবহার খুবই খারাপ। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন একবার ডাক্তার তাদের দেখতে আসেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রশান্ত কুমার (পিকে) সাহা বলেন, জনবল সংকটের কারণে খুবই সমস্যায় আছি। বিশেষ করে চিকিৎসক সংকটে সমস্যা বেশি হচ্ছে।
বর্তমানে ইনডোর-আউটডোরে রোগীর চাপ ব্যাপক। মেডিকেল অফিসার না থাকায় রোগীর চাপ সামলাতে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ ছাড়াও আউট সোসিংয়ের দুজন পুরুষ, তিনজন নারী, একজন নিরাপত্তা প্রহরী, একজন অফিস সহায়ক, একজন আয়া ও একজন পরিছন্নকর্মী কাজ করলেও মামলা জনিত কারণে তাদেরকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।