ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আড়াই শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই

এস আই মুকুল, চরফ্যাশন (ভোলা)
🕐 ৯:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৮

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর চর মনোহর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের নামে অদৌ কোনো জমির অস্তিত্ব নেই। যদিও জাতীয়করণের অন্যতম শর্ত হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ জমি থাকতে হবে।

দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয় জাতীয়করণের সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি নজরে আসার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বকেয়া পরিশোধ থেকে বিরত আছেন এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা চেয়ে চিঠি লিখেছেন।
একই উপজেলার চর আইচা ৯নং ওয়ার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য কর্মরত শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। রিট পিটিশনের জবাব দিতে গিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নথিপত্র কিংবা বাস্তবে এই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই খুঁজে পাচ্ছে না উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন। উপজেলা শিক্ষা অফিসের নথিপত্র ও বাস্তবে অস্তিত্বহীন এমন ১২৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৫৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।
দেশব্যাপী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ইবতেদায়ি মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হবে-এমন আওয়াজ তুলে কাগজে-কলমে স্কুল-মাদ্রাসা তৈরি করে এক-শ্রেণির দালাল চক্র বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে উপজেলা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত স্তরে স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাত ধরেই নতুন নতুন স্কুল-মাদ্রাসা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি অনিয়মের এমন জাল বিস্তৃত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণার আওতায় তিন ধাপে চরফ্যাশন উপজেলার ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে পুরনো জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৭১টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ঘোষণার পরপর এখানে হু হু করে কাগজে-কলমে নতুন নতুন বিদ্যালয়ের জন্ম হতে শুরু করে।

 
Electronic Paper