ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মির্জাগঞ্জে প্রধান শিক্ষকসহ ৮৪ পদ শূন্য

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৮

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে একটি কলেজসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব মাধ্যমিক-কলেজ এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে।

এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান কমছে।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নয়টি ও একটি কলেজসহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়ে মামলা জটিলতার কারণে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
এছাড়া সরকারি ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২টি প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ১২টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। কলেজ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০টি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২টিসহ ৭২টি পদ শূন্য থাকায় আশানুরূপ ফলাফল হচ্ছে না বলে অভিভাবকরা মনে করেন। কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই একজন শিক্ষক দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান করানো হচ্ছে।
অভিভাবকরা জানান, অতিরিক্ত ক্লাসের চাপ ও শ্রেণিতে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় শিক্ষকরা চাইলেও ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছেন না। ক্লাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী কিছুই শিখতে পারছে না।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষক না থাকায় শ্রেণিতে পাঠদান করতে শিক্ষকদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাদের বাড়তি ক্লাসসহ অফিসের কাজে প্রধান শিক্ষককে বাইরে থাকতে হয়। যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য এর মধ্যে সুবিদখালী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুলতানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাবুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, ভয়াং শরাফাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন দরগাহ শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এ ছাড়া উপজেলার কিছমতপুর দেলোয়ার হোসেন কলেজে অধ্যক্ষের পদ এক যুগ ধরে শূন্য রয়েছে। সরকারি প্রাথমিকে পূর্ব রামপুর সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুদবার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিসমত শ্রীনগর, নুতন শ্রীনগর, দক্ষিণ ভয়াং তুলাতলা ও উত্তর মজিদবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের পদায়নের ব্যাপারে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই শিক্ষক সংকট কেটে যাবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. সাইফদ্দীন ওয়ালীদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে মামলা চলার কারণে এসব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অল্পদিনের মধ্যেই জটিলতা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা হবে।’

 
Electronic Paper