ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রিফাত হত্যা মামলার পলাতক ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বরগুনা প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অভিযোপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে শুনানি শেষে বরগুনার সিনিয়র জুডসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পুলিশের এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় আদালত এ মামলায় পলাতক ৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং শিশু অপরাধীদের জামিনের জন্য শিশু আদালতে আবেদন করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ৬ জনের জামিন বাতিল করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন বহাল আছে। আগামী ১৩ অক্টোবর মামলার বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির।

আজ শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয় বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক ৭ আসামিকে। এ ছাড়া এ মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ আদালতে উপস্থিত হন তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে।

রিফাত হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২, ৩৪, ১৩৯, ১২০ (বি-১) ধারায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী দুলাল শরীফ গত ১৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ (মিন্নি) এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে তিনি সন্দেহ করেন। পরে ১৬ জুলাই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। যদিও এই হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবেই মামলায় নাম ছিল মিন্নির।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল লোক। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

 
Electronic Paper