অব্যাহত ভাঙনে সঙ্কুচিত লালুয়া ইউনিয়ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৯:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
রাবনাবাঁধ নদীর ভাঙনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মানচিত্র। ভিটামাটি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিদিন প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি। বন্ধ হয়ে গেছে কৃষিকাজ। জোয়ারের সময় চাড়িপাড়া, চৌধুরিপাড়া, নয়াকাটা, বানাতিপাড়া গ্রামের ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে পারে না।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের মোট আয়তন ছিল ৪৯ বর্গ কিলোমিটার। ক্রমান্বয়ে তা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৯ বর্গ কিলোমিটারে। ওই ইউনিয়নের ৪৭/৫ পোল্ডারে সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। অব্যাহত ভাঙনে যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে চাড়িপাড়া, নাওয়াপাড়া, বানাতিপাড়া, হাওয়া, চৌধুরিপাড়া, নয়াকাটা, মুন্সীপাড়া, চান্দুপাড়া, হাসনাপাড়া, চর-চান্দুপাড়া ও পশরবুনিয়া গ্রাম।
লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এ ইউনিয়নের চাড়িপাড়া গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা এখন নিঃস্ব ও অসহায়। তার উপর এ ইউনিয়নে পায়রা সমুদ্র বন্দরের বহির্নোঙরের জেটি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ চলছে।
কলাপাড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়ালিউজ্জামান জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরের বহির্নোঙরের জেটি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান থাকায় সেখানে এখন বাঁধসহ অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের পুরো কাজ সম্পন্ন হলে গোটা এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন শুরু হবে।