ইন্দুরকানীতে ভাঙা বাঁধে দুশ্চিন্তায় মানুষ
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০১৮
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়ার বলেশ্বর নদের পাড়ে চণ্ডিপুর গ্রামের ফরিদা বেগম। ঘূর্ণিঝড় সিডর তার কোল থেকে কেড়ে নিয়েছে সাত বছর বয়সের মিমি ও তিন বছরের রিনাকে। সেই দিনের ভয়াল স্মৃতি মনে হলেই আজও তার শরীর শিহরে উঠে।
সেদিন ভেসে গিয়েছিল তাদের বসতঘরও। এখনো আকাশে মেঘ দেখলেই মলিন হয়ে যায় ফরিদার মুখ। কারণ এখনো নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়নি বেড়িবাঁধ।
ফরিদা বেগম বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাহায় মোরা ম্যালা বিপদে আছি। জোয়ার অইলেই উডান বাড়ি সব তলাইয়া যায়। ভয়তে থাহি আবার কোন সময় সিডরের নাহান পানিতে সব ভাসাইয়া লইয়া যায়। মোর মতো আর যেন কেউর কোল খালি না অয়।’ খোলপটুয়া গ্রামের কৃষক মিরাজ, দেলায়ার, হাবিবুর রহমান মুন্সি বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাহায় বর্ষাকালে মোরা যে অসুবিধার মধ্যে থাহি হে কইয়া শেষ করতে পারমুনা।’
পত্তাশী ইউনিয়নের চাড়াখালী গুচ্ছগ্রামের লিপি বেগম বলেন, ‘গাঙের ঢেউয়ের পানি সব ঘরে ওডে। চাইরো কুল সব তলাইয়া যায়। ঘর দিয়া বাইরকুলেও নামা যায় না। পোলা মাইয়া লইয়া খাডের ওপরে বইয়া থাহা লাগে। রাইন্দা খাওয়ারও উপায় থাহে না। চুলায়ও পানি ওডে।’ বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, এ উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে নদী তীরের অধিকাংশ স্থানে বেড়িবাঁধ নেই। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ইন্দুরকানীর বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ দিয়েছেন। যার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’