মিন্নির পক্ষে দুই আবেদনই নামঞ্জুর
বরগুনা প্রতিনিধি
🕐 ১:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তাঁর স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে তলব এবং হাসপাতালে নিয়ে তার উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম ১৬৪ ধারায় দেয়া মিন্নির জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য তাকে আদালতে তলবের জন্য আবেদন করেন। এ সময় আইনজীবী মিন্নি অসুস্থ বলেও দাবি করে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতারে পাঠানোর আবেদন করেন। দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে রোববার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে হাজির করে জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করেন বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী।
এ সময় মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে শুনানিতে তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের, অ্যাডভোকেট দীপক চন্দ্র হালদার, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ ও অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, রিমান্ড শেষে মিন্নিকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক রিফাত শরীফ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরে মিন্নিকে কারাগারে পাঠান একই বিচারক।
এর আগে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে ওই মামলায় বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই পাঁচ দিন রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ ছাড়া শুক্রবার সকালে এ মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৩ জন অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলার দুজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।