ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় জোয়ারে প্লাবিত লঞ্চ-ফেরিঘাট

ভোলা প্রতিনিধি
🕐 ৭:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০১৯

মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার ইলিশা ফেরী ও লঞ্চঘাট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। লঞ্চ কিংবা ফেরীর পল্টুনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। এদিকে, পানিতে ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইলিশা ঘাট থেকে ফেরীতে উঠা-নামা করতে পারছেন না কোন যানবাহন। এতে ঘাটে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পার পারছে না কোন যানবাহন বা পন্যবাহী ট্রাক। এতে চরমভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডেরর কর্মকর্তারা। তারা বলেন, বর্তমানে পানির উচ্চতা ২৫০ সেন্টিমিটার। আমবশ্যায় সৃষ্ট জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানায় পাউবো।

ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, পল্টুন থেকে নামতে গিয়ে মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। জোয়ারের পানির কারনে সিড়ি ডুবে যাওয়ার ফলে চরম বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশী। হাটু পরিমান পানিতে ভীজে ঘাট থেকে উঠা-নামা করতে হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাত্রী সোহান, নাদিরা, নিখিল সরকার ও রেহানা বেগম বলেন, আমরা লঞ্চের যাত্রী, মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটে নেমেছি, কিন্তু পুরো ঘাট প্লাবিত হওয়ায় ভীজে নামতে হয়েছে। পুরো ঘাটের সিড়ি তলিয়ে গেছে। সব যাত্রীকেই উঠা-নামা করতে কষ্ট হচ্ছে। ঘাটে নুন্যতম যাত্রীসেবা মিলছে না।

অপরদিকে, একই অবস্থা ইলিশা ফেরী ঘাটের। জোয়ারে পানিতে ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে আছে গ্যাংওয়ে। এতে যানবাহন উঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। কেউ পানিতে ডুবে কেউবা নৌকায় পল্টুনে উঠছেন। দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের দীর্ঘতম রুট ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। কিন্তু ঘাটে জোযারের পানির কারণে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ঘাটের। দুপুর থেকে ঘাটে যানবাহন ও ট্রাক উঠা-নামা করতে না পারায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও গন্তব্যে যেতে পারছে না যাবাবাহনগুলো। ভোলা নদী বন্দর কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ফেরীঘাটে একটি হাই ওয়াটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে খুব দ্রুত লঞ্চঘাট মেরামত করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বলেন, পানির উচ্চতা বেড়েছে, তাই নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। পাউবো ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বলেন, মেঘনার পানি ২৫০ সেমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপপদ সীমার ৫০ সেন্টিমটার। এতে বাঁধের বাইরের বেশীরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোলায় ৩ নং সংকেত থাকায় নদী উত্তাল রয়েছে।

 
Electronic Paper