ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাঙছে নদী কাঁদছে মানুষ

এস আই মুকুল, চরফ্যাশন (ভোলা)
🕐 ৮:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ০৯, ২০১৯

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সর্ব দক্ষিণে মেঘনার বুকে গঠিত হয় ঢালচর ইউনিয়ন। প্রায় দুইশ বছর আগে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠে চরটি। পর্যায়ক্রমে শুরু হয় বসতি। এখানের অধিকাংশ পরিবারগুলোই হতদরিদ্র। বিগত ১৭ বছরের অব্যাহত ভাঙনে উত্তাল মেঘনার গহ্বরে বিলীন হয়েছে এ জনপদের অনেকাংশই। তীব্র ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে অনেকে।

নিজের শেষ সম্বল হারিয়ে এ জনপদ ত্যাগ করেছেন অধিকাংশ পরিবার। আবার কেউ কেউ নিজের ভিটেমাটি নদীর মাঝে বিলীন হওয়ার পর আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, ঝুপড়ি ঘরে ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে। তবুও এ জনপদের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা স্বপ্ন দেখে এখানেই থাকার।

ঢালচরের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া, সাহেব আলী মিয়াজী, মো. ফিরোজ, সাইফুল ইসলাম, তাসনুর বেগম বলেন, এখানে প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে জীবনযাপন করছি। তবে বিগত কয়েক বছরের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এ চরের অনেকাংশ। ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে বসতভিটা, ফসলি জমি, আশ্রয়কেন্দ্র, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদসহ সরকারি বহু স্থাপনা। যার ফলে অনেকেই এখান থেকে চলে গেছে অন্যত্র। যদি খুব শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে পুরো ঢালচরই নদীর মাঝে বিলীন হয়ে যাবে।

ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে অনেক তদবির করেছি কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। দ্রুত যেন ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়াও যাদের ঘরবাড়ি ও জমি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে তাদের জন্য যেন ভূমি ও আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হয়।

এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম জানান, ঢালচরের ভাঙন রোধে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রকল্পটি পাস হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। এরপর আর ঢালচরের ভাঙন থাকবে না।

 
Electronic Paper