ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অজানা পথে ঝালকাঠি বিএনপি

শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
🕐 ৩:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৮, ২০১৯

সংকট উত্তোরণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না ঝালকাঠি বিএনপি। দলটির নেতা থেকেও এলাকায় নেই, অফিস নেই এবং অর্থদাতাও নেই। এ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। অনেকে দল ছাড়ার চিন্তা করছেন। এ জেলায় দলটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা সে প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।

জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু আর ঝালকাঠিতে আসেননি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরই তিনি ঝালকাঠি ছেড়ে যান। দলের মনোনয়ন পাওয়া জীবা আমিনা খানও আর নির্বাচনের পর এলাকায় আসেননি। জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুল ইসলামকে শেষ কবে নাগাদ ঝালকাঠিতে দেখা গেছে তা-ও মনে করতে পারছেন না নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির যে কার্যালয়টি ছিল নির্বাচনের পরে সেটির দখল বুঝে নেয় মালিক পক্ষ। নেতাকর্মীরা জানান, এ অফিসটি কয়েক বছর ধরে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়ার অর্থায়নে চলছিল। কিবরিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অফিসটি ছেড়ে দিলে মালিক পক্ষ বিনা নোটিশে অফিসটির দখল বুঝে নেয়।

এ বিষয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর জানিয়েছেন, অফিসের যাবতীয় ডেকারেশন খরচ বিএনপি করেছে। সে পাওনা আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে তারা অফিস দখলে নিতে পারে না। তাই আমরা মালিক পক্ষকে উকিল নোটিশ করেছি। সন্তোষজনক জবাব না পেলে মামলা করা হবে।

এদিকে সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই অর্থ সংকটে পড়েছে ঝালকাঠি বিএনপি। দলের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অর্থদাতার এখন জেলা নেতাদের এড়িয়ে চলছেন। কবে নাগাদ অফিস নেওয়া হবে তাও কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। আবার অফিস নিলেও দলীয় কর্মসূচি পালনের ফান্ড কোথা থেকে আসবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

জেলায় দলের এ অবস্থা জানাতে গত ১৮ মার্চ জেলার নেতারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিএনপির সিনিয়র ভাইাস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপিতে মতবিনিময় করেন এবং দলের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

মতবিনিময় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর খোলা কাগজকে বলেন, আমরা তাকে (তারেক রহমান) বলেছি কোনো কোনো নেতা নির্বাচনের পর ঝালকাঠি থেকে পালিয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ দলীয় পদ দখল করে থাকলেও দলীয় কর্মসূচিতে আসছেন না।

 
Electronic Paper